For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

১২ ঘণ্টা পরেও নামেনি পানি

খাবার-পানি সংকট ঢাবির কুয়েত-মৈত্রী হলে

Published : Friday, 22 September, 2023 at 5:49 PM Count : 142


বৃহস্পতিবার রাতে বর্ষণের ফলে সৃষ্টি হওয়া পানি ১২ ঘণ্টা পরেও রয়ে গেছে রাজধানীর নীলক্ষেত-আজিমপুর এলাকায়। ফলে আজিমপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলে তীব্র ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

তীব্র বৃষ্টিতে মৈত্রী হলের নিচতলা পানিতে ডুবে আছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে হলে বিদ্যুৎ নেই, ফলে ওয়াশরুমে পানি নেই। খাবার ও পানীয় পানির সংকট তৈরি হয়েছে।

দুপুর দেড়টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউমার্কেট এলাকায় এখনও হাঁটু ওপরে পানি। তীব্র বর্ষণে নিউমার্কেট, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, শাহনেওয়াজ হোস্টেল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলেও পানিবন্দী। তবে সবচেয়ে নিচু হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে কুয়েত-মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা।  
মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুন নাহার বলেন, ‘কী বীভৎস অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি বলে বুঝানো যাবে না। এখন পর্যন্ত পানি নেমে যাওয়ার লক্ষণ দেখছি না। আমাদের পাওয়ার স্টেশন গতকাল রাতেই ব্লাস্ট হয়ে বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সুপেয় পানির রিজার্ভ টাংকি এখনও পানির নিচে। হলে যে কোনো সময় পানি থাকবে না।’

তিনি বলেন, আমাদের ইনস্টিটিউট এবং বঙ্গমাতা হলের পানি মৈত্রী হলের ভেতর দিয়ে বিজিবি হয়ে বুড়িগঙ্গায় যায়। হল সবচেয়ে নিচু হওয়ায় ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি। আমার অফিসের আলমিরার নিচের তাকের ফাইলগুলো সব নষ্ট হয়ে গেছে। হলের ৪০ জন কর্মচারী কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে নিচতলার কক্ষগুলো পরিষ্কার করেছি।

এ দিকে জানা গেছে, বঙ্গমাতা হলের কক্ষে পানি উঠেনি তবে হল পানিবন্দী হয়ে আছে। গতকাল রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। খাবার পানি, গোসলের পানি নাই। কোনো খাবার রান্না হয়নি।

জানতে চাইলে ওই জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আবু মুছা চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সবগুলো সাব স্টেশন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে কুয়েতমৈত্রী হলের ১১ হাজার ভোল্টেজের ক্যাবল শর্ট সার্কিট হয়ে বিকল হয়ে গেছে। আমরা মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা হলে একটি ইমার্জেন্সি লাইন দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি সন্ধ্যার আগেই লাইন দিতে পারব।’

অন্যদিকে বিভিন্ন বিভাগের অনেক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা আছে শনিবার অথবা রোববারে। এই সংকটে তাদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত তৈরি হচ্ছে এবং পরীক্ষা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন তারা। এক ছাত্রী লিখেছেন, ‘একটা হলে এতক্ষণ ধরে ইলেকট্রিসিটি নাই, পানিবদ্ধ অবস্থা। কালকে আবার পরীক্ষা। রাতেও কারেন্ট না আসলে পড়বো কীভাবে।’

এমবি

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,