সত্য বলার অপরাধে দেশের অনেক গণমাধ্যম আজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, কারো চাকরি নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আমরা সবাই ঘোর অন্ধকারের দিকে যাচ্ছি। স্বাধীনতার সময় কল্পনাও করিনি এমন একটি সময় আমরা দেখব। আজকে গণমাধ্যমও ভাগ হয়েছে। এদিকে রয়েছেন ভয়াবহ সরকারের উচ্ছিষ্টভোগীরা, আরেকদিকে রয়েছেন গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা ফিরে পাবার সংগ্রামীরা। যারা সংগ্রামে আছেন তারা আজ নিগৃহীত। তাদের অনেকের আজ চাকরি নেই, সত্য বলার অপরাধে অনেক গণমাধ্যম আজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ মাহমুদুর রহমান, শফিক রেহমান দেশ ছাড়া।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকার এতটাই ফ্যাসিবাদী যে, ভয়ে সংবাদকর্মীরাও সেন্সর করে। রাষ্ট্র এখন রাষ্ট্র নেই। এটা এখন যন্ত্রণার কারখানা হয়ে গেছে। এরা বাংলাদেশের আত্মাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে বিচারকরাই ন্যায় বিচার ধ্বংস করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে লজ্জা হয়, কষ্ট হয়, যখন দেখি এই ভয়াবহ সরকারকে সমর্থন দিয়ে কোনো কোনো গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং মালিক বক্তব্য দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, কয়েকদিন ঈশ্বরগঞ্জে ৩০ বছর আগের মামলায় ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাবেক এমপি হাবিবকে ৭০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে বিচারের নামে চলছে অবিচার। আর এ থেকে আমাদের মুক্তি পেতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জাতিকে রক্ষা করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন। সবাই মিলে আসুন এই দানবীয় সরকারকে বিদায় করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করি।
ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীম, জামায়াত ইসলামের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, কবি আব্দুল হাই সিকদার, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, এম. আব্দুল্লাহ, নুরুল আমিন রোকন, এম এ আজিজ, কামাল উদ্দিন সবুজ, ইলিয়াস খান, মুরসালিন নোমানী, এলাহি নেওয়াজ খান সাজু, রাশেদুল হক, সাঈদ খান প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপি নেতা অধ্যাপক হাসান মুর্শেদ খান, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।
এসআর