কিডনি বিক্রির ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে ফাঁসানোর চেষ্টা!
Published : Monday, 18 September, 2023 at 12:29 PM Count : 1180
কৌশলে ফাঁসানোর জন্য রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী সদস্য মোনায়েম হোসেন জেম্সের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে কিডনি বিক্রির সাথে তিনি জড়িত রয়েছেন বলে কিছু গণ মাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। এ অভিযোগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গুরুদাসপুরের একটি ভুক্তভোগী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩০) ও তার মা ছবেলা বেগম (৫৫) অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি কয়েকজন ব্যক্তি নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কিডনি বিক্রি সম্পর্কে তাদের কাছে জানতে চান। কিডনি বিক্রি সম্পর্কে তারা কিছু জানেন না বললেও ওই ব্যক্তিরা তাদের মনগড়া কথা শিখিয়ে দেন।
একপর্যায়ে ক্যামেরার সামনে তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী সদস্য ও ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোনায়েম হোসেন জেম্স কিডনি বিক্রির সাথে জড়িত আছে এমন কথা বলতে বলেন। ভয়ে তারা শেখানো কথা বলেছেন। প্রকৃতপক্ষে তারা জেম্স নামের কাউকে চেনেন না।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, কিডনি বিক্রেতা আব্দুর রশিদের স্ত্রীর নিকট জানতে পারে যে টাকা দিয়ে কিডনি বিক্রি করা যায়। তাই সংসারে ঋন থাকায় তিনি আব্দুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করতে রাজি হন। কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠেনি। এর মধ্যে সাংবাদিক পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি কিডনি বিক্রির ব্যপারে তাকে বক্তব্য দিতে বাধ্য করেন। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তিদের শেখানো কথা ক্যামেরার সামনে বলতে বাধ্য হন তিনি।
এসব অভিযোগ এনে রোববার রাতে চাঁচকৈড় বাজারের একটি অফিস কক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। নজরুল ইসলাম গুরুদাসপুর উপজেলার শাহপুর মধ্যপাড়ার নজির উদ্দিনের ছেলে এবং ছবেলা বেগম নজির উদ্দিনের স্ত্রী।
তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোনায়েম হোসেন জেম্স মোবাইল ফোনে দাবি করেন, ‘কিডনি বিক্রির কথা আমি এর আগে শুনিনি। মূলত প্রতিপক্ষরা আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতেই মানহানিকর তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রচার করেছে। আমাকে জড়িয়ে উপস্থাপন করা তথ্যের অংশটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
এমএ/এমবি
