পদ্মা আবাসিকের বিষফোঁড়া লেকের বস্তি, গড়ে উঠছে অপরাধের সম্রাজ্য
Published : Wednesday, 13 September, 2023 at 10:22 PM Count : 170
রাজশাহী মহানগরীর পদ্মা আবাসিক অভিজাত এলাকার সৌন্দর্য কেড়ে নিয়েছে লেকের বস্তি। পাশাপাশি মাদক কেনাবেচা, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডের বাধাহীন সাম্রাজ্য হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে, রাস্তা ও ফুটফাত দখল করে রাখা হয়েছে নোংরা ও ময়লাযুক্ত ভাঙ্গড়ি মালামাল। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার উপর পুরোনো স্যান্ডেলের স্তুপ। এ স্তুপ তৈরি করে রেখেছেন বস্তির সহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।
এছাড়া, পথচারীদের ফুটফাত চলাচলের অনুপযোগী করে তুলেছে তারা। রাখা হয়েছে দুর্গন্ধযুক্ত বস্তা ও ময়লা আবর্জনা। এসকল দুর্গন্ধযুক্ত বস্তায় দেখা গেছে মশা-মাছি আনাগোনা। এ থেকে ছাড়াচ্ছে ডেঙ্গুর মত মরনব্যাধি।
এদিকে, সন্ধ্যা হলেই ওই বস্তিতে বসে মাদকের রমরমা ব্যবসা। জুয়া ছাড়াও চলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। এসকল কর্মকাণ্ড আবাসিক অভিজাত এলাকার বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
বস্তিতে থাকা মাদকাসক্ত যুবকেরা প্রতিনিয়ত চুরি ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন।
পদ্মা আবাসিক এলাকায় থাকেন ব্যাংক কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রেলের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থানে দিন-রাত চলছে মাদক বিক্রিসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড। এছাড়া বস্তিবাসীরা ময়লা-আবর্জনা, কাপড়-চোপড়, হাড়ি-পাতিল ও বাসন মাজাসহ পুরোনো প্লাস্টিকের বোতল ফেলে লেকের পরিবেশ বিনষ্ট করছে। এতে লেকের সৌন্দর্য ও পরিবেশ ব্যাপক হুমকির মধ্যে রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের অতিদ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
ওই এলাকার ডাক্তার কবির উদ্দিন বলেন, আবাসিক এলাকায় সৌন্দর্য হচ্ছে লেক। বিকেল হলেই দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ে। এছাড়া অনেকে লেকের চারপাশে হাটাহাটিও করেন। বস্তির লোকজন মহানগরীর বিভিন্ন ডাসবিন থেকে ময়লা আবর্জনাযুক্ত ভাঙ্গড়ি মালামাল কুড়িয়ে নিয়ে আসেন। সড়কের দুই পাশে এ মালামালগুলি রাখার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পথচারী ও দর্শনার্থীদের।
তিনি আরও বলেন, রেলের জায়গায় অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে না পারলে কাছাকাছি সময়ে আবাসিক এলাকাসহ মহানগরবাসীর নিরাপত্তাহীনতায় পড়বে বলে মত দেন তিনি।
এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল গিয়ে বস্তিবাসীদের রাস্তা পরিস্কার করতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে রাস্তা ও ফুটফাতে কোনোকিছু না রাখার অনুরোধও করা হয়েছে। কথা না শুনলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদক ও জুয়ার বিষয়ে ওসি বলেন, বস্তি এলাকায় আমাদের গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করছে। ইতোমধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছি। মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ। এসময় তিনি ওই এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ নাগরিকদের এগিয়ে আসবে হবে বলে মনে করেন তিনি।
আরএইচএফ/এসআর