সড়কের পাশে মরা গাছ: দুর্ঘটনার আশংকা
Published : Wednesday, 13 September, 2023 at 6:35 PM Count : 210
সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় থেকে জেলার কামারখন্দ উপজেলার আওতাধীন জামতৈল-আলোকদিয়া সড়কে প্রতিনিয়তই প্রায় দেড়শত সিএনজি সহ চলাচল করছে ছোট বড় কয়েক শত বিভিন্ন প্রকার যানবাহন। এই সড়কের উভয় পাশে মাঝাড়ী, ছোট ও বড় মিলে প্রায় পাঁচ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। এর মধ্যে এই সড়কের আলোকদিয়া এলাকায় রাস্তার দু’পাশে বড় বড় বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪০টি মরা গাছ রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে মরাগাছগুলো থাকার কারনে কামারখন্দ উপজেলার ব্যস্ততম এই সড়কটি খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। কারন সামান্য ঝড়-বাতাসে এসব মরাগাছ যেকোন সময় ভেঙে পড়তে পারে। ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এতে জেলা শহরসহ এই সড়কে চলাচলকারি সাধারন মানুষ ও যানবাহনের চালকরা আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছে।
জেলা সিএনজি মালিক গ্রুপের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সিএনজি চালকরা প্রায় ১৮ ঘন্টা এই সড়ক ব্যবহার করে সিএনজি চালিয়ে থাকেন। সাধারন যাত্রীসহ সিএনজি চালকরা অনেক সময় রোগীও বহন করে থাকেন। এই সড়কের মরাগাছগুলো ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যেকোন সময় ভেঙে পড়তে পারে। যার কারনে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তিনি সংশ্লিষ্টদের মরাগাছ অপসারনে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানান।
সিএনজি চালক আফসার আলী জানান, গাছগুলো অনেক আগেই মরে গেছে। এগুলো আরো আগেই কাটা উচিত ছিল। এখন যে অবস্থায় মরা গাছগুলো রয়েছে তাতে হালকা ঝড়ো বাতাসেই যে কোনো সময় সড়কে ভেঙে পড়বে। এতে করে তাদের গাড়ির ও যাত্রীদের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
অটো চালক বাবলু সরকার বলেন, প্রতিদিন এই সড়কে অটো চালাই। মরাগাছ এলাকায় আসলে ভয়ে থাকি, না জানি কখন ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি ক্ষেভের সাথে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই গাছগুলো এভাবেই পড়ে আছে কিন্তু কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আগেই এর একটা ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান তিনি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম শহিদুল্লাহ সবুজ জানান, বিষয়টি আমার নজরেও এসেছে। মরাগাছগুলো রাস্তায় চলাচল কারিদের জন্য খুবই ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গাছগুলো কাটার ব্যবস্থার বিষয়ে ইতোমধ্যে বন বিভাগের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কামারখন্দ উপজেলা বন কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ইতোমধ্যেই মরা গাছগুলো কাটার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি বলেন, নিয়ম মেনে গাছকাটতে সময় লাগবে। যেহেতু মরা গাছগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ তাই দ্রুত গাছগুলো কেটে কারও হেফাজতে রাখার বিকল্প চিন্তাও করা হয়েছে।
এবি/এসআর