ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্বেগ
Published : Sunday, 10 September, 2023 at 10:18 PM Count : 111
প্রতিনিয়ত দেশে উদ্বেগজনক হারে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। মানুষ সচেতন না হলে এই রোগীর সংখ্যা আরও ভয়াবহ হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার দুপুরে সাভারের আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের জিরানী এলাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ও কোরিয়া সরকারের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রি হাসপাতালে ফায়ার সেফটি ও আই কেয়ার উদ্বোধন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নিকট হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা সেবা পর্যাপ্ত দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যা যা দায়িত্ব রয়েছে মন্ত্রণালয় তা শতভাগ পালন করছে। তবে যে পর্যন্ত মশা না কমবে সে পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও কমবে না। আমরা দেখেছি গতকালও (শনিবার) দুই হাজার নতুন রোগী আক্রান্ত ও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে দেড় লাখ লোক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আছে। এখনো ১০ হাজার লোক হাসপাতালে ভর্তি আছে। মশা নিধনে প্রত্যেকটি জায়গায় পরিস্কার রাখতে হবে। শুধু ঢাকা শহরে নয়, জেলাগুলোতেও এই কাজ করতে হবে। তবেই মশা কমবে, তবেই ডেঙ্গু রোগী কমবে। এর বাইরে কিছু বলার নেই।'
করোনার কাছে আমরা জয়ী হয়েছি তবে ডেঙ্গুর কাছে সরকার বা স্বাস্থ্যখাত হেরে যাচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ আপনারা খুব ভালো জানেন। তাদের দ্বায়িত্ব ডাক্তার-নার্সদের ট্রেইন করা। এছাড়া রোগীরা যাতে বেড পায়, ওষুধ পায় ও সেলাইন পায় সেই কাজ সফলতার সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করে আসছে। বাইরে আমরা দেখলাম স্যালাইনের অভাব দেখা দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের হাসপাতালে স্যালাইনের অভাব নেই। তারপরও আমরা সরকারি ভাবে নির্দেশনা দিয়েছি যেন ৭ লাখ স্যালাইন বাজারে ইনপুট করে আনা হয়। সেটাও ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেখবেন বাংলাদেশে স্যালাইন চলে এসেছে। আর লোকাল স্যালাইন তো তৈরিই হচ্ছে।
জাহিদ মালেক বলেন, 'আমাদের যা চিকিৎসা দেওয়ার আমরা তার বাইরে সচেতনতামূলক কাজও করে যাচ্ছি। আমরা টেলিভিশনে দেই, পত্রিকায় দেই মাইকিংও করছি। যে কাজটি সিটি কর্পোরেশনের সেটিও আমরা করছি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত এইচ ই পার্ক ইয়াং সিক, হাসপাতালটির বাস্তবায়ন সংস্থা কোয়িকার ভাইস প্রেসিডেন্ট লি ইউন ইয়াং, স্বাস্থ্য সেবা খাতের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা খানম, কোয়িকার দেশ পরিচালক তেয়ং কিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের সিএমও ডা. সুরজিৎ দত্তসহ বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
-ওএফ/এমএ