সজলকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ফের রাস্তায় শিক্ষার্থীরা
Published : Sunday, 10 September, 2023 at 7:48 PM Count : 161
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সজল ঘোষের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফের রাস্তায় নেমেছে বগুড়া ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনে (সাতমাথা-বনানী) সড়ক অবরোধ করেছিল। এতে শহরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল ঘোষ বহিরাগত হয়েও দীর্ঘ এক যুগ ধরে ছাত্রাবাসের ২১৮ নম্বর কক্ষ দখল করে রেখেছেন। সেখানে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে সজল পুরো ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিবেশ করে রেখেছে৷ এছাড়া শিক্ষার্থীদের মারধর, হলে সিট বাণিজ্য, মাদক সেবন, শরীর ম্যাসেজ নিত। এবং পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা জোর করে নেন সজল। পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা আদায়ের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ জড়িত বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এছাড়া তারা সজল ঘোষের দ্রুত গ্রেপ্তার, অধ্যক্ষের অপসারণ এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান বলেন, 'গত ২৯ অগাস্ট থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো মামলা না দেওয়া অবদি সজল ঘোষকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব না। এরপর কলেজের এক শিক্ষার্থী বগুড়া সদর থানায় গত ০২ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করলেও এখনও অভিযুক্ত সজল ঘোষকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ কারণে আন্দোলনের ১৩তম দিনে আবারও সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। সজল ঘোষ গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালবে।
এদিকে, অবরোধের কারণে প্রায় আড়াই ঘন্টা বগুড়া-শেরপুর সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
পথচারীরা জানান, শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। তবে এভাবে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করা সাধারণ মানুষের জন্য ভোগান্তি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম বলেন, শহরের ইনস্টিটিউট অব হেলথ্ টেকনোলজির (আইএইচটি) শিক্ষার্থী অভিযুক্ত সজল ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। পুলিশ দ্রুত আসামিকে গ্রেপ্তারে তৎপর রয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের তিনটি টিম কাজ করছে।
গত ২৯ অগাস্ট বিকেল থেকে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল ঘোষের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ এক যুগ ধরে বগুড়া ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) ছাত্রাবাসে থাকেন ছাত্রলীগ নেতা সজল ঘোষ। ছাত্র না হয়েও সেখানে থেকে শিক্ষার্থীদের মারধর, হলে সিট বাণিজ্য, মাদক সেবন, মেয়ে নিয়ে ফুর্তি এবং পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা আদায়সহ নানা ধরনের অপকর্ম করে আসছিলেন তিনি।
তবে অভিযোগের বিষয়ে সজল ঘোষের সঙ্গে গত ২৯ অগাস্ট থেকে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যাচ্ছে না।
-এমএ/এমএ