For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

সপ্তাহের ব্যবধানে বেশি বেড়েছে সবজির দাম

Published : Friday, 8 September, 2023 at 11:54 AM Count : 294

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০-২০ টাকা। ৬০ টাকায় মধ্যে এখন শুধু পেঁপে, পটল আর ঢেঁড়স মিলছে। অন্যান্য সবজি কিনতে হলে গুনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০-১২০ টাকা পর্যন্ত।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে এমন চিত্র দেখা যায়।

চাল, ডাল, চিনি, ভোজ্যতেল, আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ বেশির ভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আর কমেনি। বলা যায়, এসব পণ্য চড়া দামে আটকে আছে দীর্ঘদিন ধরে।

সপ্তাহের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সবজির। বিক্রেতারা বলছেন, মৌসুম না হওয়ার কারণে সবজির সরবরাহ কমছে। এতে পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়েছে।
বাজারে দেখা যায়, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা আর গোল বেগুন ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুরমুখি ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। অথচ এর আগে ২৫-৩০ টাকার মধ্যে আলু খেতে পারতো মানুষ। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে। যা প্রায় মাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে, কাঁচা মরিচ ১২০-১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কমেনি আদা-রসুনের দামও। মানভেদে প্রতি কেজি আদা কিংবা রসুন সর্বনিম্ন ২৬০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে।

তবে বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম। বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে একই দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়। কক মুরগি ৩২০ টাকা, কক হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা এবং লেয়ার ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, ডিম ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকায়। এছাড়া হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, বাজারে মাছের দাম কয়েক সপ্তাহ ধরেই বেশ চড়া। এসব বাজারে এক কেজি চাষের শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া ১৯০-২২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৬০০ টাকায়। ছোট ৪০০ গ্রামের কম ওজনের ইলিশের কেজি ৬০০ টাকা।

তালতলা বাজারের ক্রেতা মহিউদ্দিন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় এমন কোনো জিনিস নেই, যার দাম বাড়েনি। কোনো পণ্যের দাম প্রথমে ১০ টাকা বাড়ে, এরপর দুই টাকা কমে যায়। আর বাকি সময় স্থায়ী ভাবে আট টাকা বাড়তি থেকে যায়। এমন একটা চক্রে চলছে বাজার। যেন দেখার কেউ নেই।

তিনি বলেন, এক বছরের ব্যবধানে হিসাব করুন, তাহলে দেখবেন প্রতিটি পণ্যের দাম দেড় থেকে দুইগুন হয়েছে। বেড়েছে যতটুকু তার চেয়ে বেশি বাড়িয়েছে সিন্ডিকেট করে। এখন গরিব মানুষ বাধ্য হয়ে কম খাচ্ছে। অনেকে তো মাছ-মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।

মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারে বিক্রেতা খলিল মিয়া বলেন, আমাদের এখানে বেশির ভাগই মাছ ভালো মানের ও দেশী জাতের, তাই দামটা বেশি। যে আড়ত থেকে মাছ আনা হয়, সেখানেই দাম বেশি। আর আগের চেয়ে সাপ্লাই কিছুটা কমে গেছে। 

অতিরিক্ত দামে মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। লালমাটিয়ার বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, মাছের এতো দাম দেখে ভড়কে গিয়েছি। এই দামে মাছ কিনলে তো বাকি মাস চলতে পারব না।

আরেক ক্রেতা সৈয়দ তারিকুল ইসলাম বলেন, এসেছিলাম একটু বেশি করে মাছ কিনে নিয়ে যেতে। তবে যে দাম, সে ক্ষেত্রে হয়ত বাজেটের অর্ধেক কিনতে হবে।

-এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,