ব্যবসায়ীর গুদামে সরকারি চাল, ব্যবস্থা নেয়নি খাদ্য বিভাগ
Published : Wednesday, 6 September, 2023 at 8:48 PM Count : 140
পঞ্চগড় বাজারের চালহাটিতে আব্দুস সাত্তার নামের এক ব্যবসায়ীর গুদামে ২০ মেট্রিক টন সরকারি চালের বস্তা মজুদ থাকার খবর পেয়ে বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ওই দোকানটি ঘিরে রাখে।
এর মধ্যেই জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা, চেম্বারের ট্রেজারার আব্দুল সামাদ পুলক ও পঞ্চগড় সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আরেফিন ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে তারা ব্যবসায়ীর দেয়া কিছু কাগজপত্র দেখে কোনো ব্যবস্থা না নিয়েই দুই ঘন্টা পর ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এদিকে, ওই ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের ছবি তোলার সময় চ্যানেল এসের পঞ্চগড় প্রতিনিধি আব্দুর রউফের উপর চড়াও হন আব্দুস সাত্তারের চাচা শাহীনসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী। এ সময় তারা ওই গণমাধ্যম কর্মীকে লাঞ্ছিত করলেও নিরব ছিল পুলিশ সদস্যরা।
ওই ব্যবসায়ী বলেন, নাটোরের গুরুদাসপুরের গৌতম ট্রেডার্স থেকে ২০ মেট্রিক টন চাল কিনেছেন তিনি। চালগুলো টিআর কাবিখার চাল বলেও জানান তিনি। তার গুদামে খাদ্য বিভাগের লোগো ও লেখা সম্বলিত প্রতিটি বস্তায় ৫০ কেজি করে ৬৬৭টি বস্তা চাল রয়েছে।
এদিকে, খাদ্য বিভাগের লোগো ও লেখা সম্বলিত বস্তায় চাল বিক্রি অবৈধ হলেও খাদ্য বিভাগ কোনো ব্যবস্থা
না নিয়েই ওই ব্যবসায়ীকে চাল বিক্রির অনুমতি দিয়ে চলে যান। সরকারি বস্তায় সরকারি চাল জব্দ না করে বা কোনো আইনী ব্যবস্থা না নেয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
চাল ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার বলেন, আমি নাটোর থেকে চালগুলো কিনেছি। এভাবে আমি দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসা করছি। আমার সব কাগজপত্র ঠিক আছে। তাই খাদ্য বিভাগ ও পুলিশের কর্মকর্তারা কাগজপত্র যাচাই করে আমাকে বিক্রির অনুমতি দিয়ে চলে গেছে।
তবে নাটোরের গৌতম ট্রেডাসের সঙ্গে মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আরেফিন বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি চালগুলো সরকারি। টিআর, জিআর ও কাবিখার চাল।
সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, আমরা কাগজপত্র যাচাই করে দেখেছি কাগজ ঠিক আছে। আপনারা আপনাদের মতো যাচাই করে দেখেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল হক খন্দকার বলেন, আমাদের গুদাম থেকে কোনো চাল বেড়িয়ে গেলে আমাদের আর কোনো দায় দায়িত্ব নেই। কোনো গুদামে সরকারি বস্তায় চাল পাওয়া গেলেও আমাদের দেখার কোনো বিষয় নেই।
-এসআই/এমএ