ডুমুরিয়ায় স্লুইচ গেট দিয়ে পানি তুলে মাছ চাষের দাবি ঘের মালিকদের
Published : Friday, 30 December, 2022 at 3:57 PM Count : 171
খুলনার ডুমুরিয়ায় মাগুরখালির আধারমানিক স্লূইচ গেট দিয়ে পানি উঠিয়ে মাছ চাষের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে চার গ্রামের ২ সহস্রাধিক মৎস্যচাষি। তবে ধান চাষে ব্যাহত হবে এমন কাজ থেকে আপাতত বিরত থাকতে বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সরেজমিনে গিয়ে একাধিক ঘের মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার মাগুরখালি ইউনিয়নের ১৭/১ পোল্ডারের আওতায় আধারমানিক নামক স্থানে একটি স্লুইচ গেট রয়েছে। যা দিয়ে খোরেরাবাদ, আধারমানিক, গজালিয়া ও চিত্রামারিসহ ৪টি বিলের প্রায় ৭ হাজার বিঘা জমির পানি নিষ্কাশন হয়ে সালতা নদীতে পড়ে। এ পোল্ডারের আওতায় ডুমুরিয়া ও পার্শ্ববর্তী তালা উপজেলার ২ হাজার লোকের নিজস্ব জমিতে প্রায় ৩০ বছর ধরে মৎস্য চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এসব জমিতে ঘের দিয়ে বছরের বারো মাসই মাছ করে আসছেন জমির মালিকরা।
কথা হয়, খোরেরাবাদ এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অরবিন্দু রায়ের সাথে। তিনি বলেন, গত বছর সালতা নদী খননের জন্য ঘেরে পানি না উঠায় পরীক্ষামূলকভাবে আমরা ইরি-বোরো ধানের চাষ করি। তাতে আমাদের ব্যাপক লোকসান গুনতে হয়েছে।একই এলাকার চিত্তরঞ্জন সানা বলেন, আমি ৩ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করে উৎপাদন খরচও উঠে নাই।
এ ছাড়া গৌতম রায়, বিজয় সরকার, গনেশ মন্ডল পুলিন মন্ডল, নারায়ণ রায়সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, আমাদের এসব বিলে প্রচুর লবণাক্ত থাকায় ইরি-বোরো চাষে সফলতা পাইনি। যে কারণে আমরা মাছ চাষে ঝুঁকছি। আর বারো মাসই মাছ চাষে ব্যাপক লাভবান ও অর্থনৈতিকভাবে প্রত্যেকেই স্বাবলম্বী হয়েছে। আমরা যদি এ বছর নদীর পানি না পাই তাহলে আমাদের ধানও হবে না মাছও হবে না। সব মিলে আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হব।
এ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, পোল্ডারের ভিতরে কোনো প্রকার লবণ পানি প্রবেশ করা যাবে না। তবে যেহেতু ওই এলাকায় কিছু অংশ বোরো চাষ করছে সেহেতু এখন থেকে তিন মাস পর নদীর পানি তুললে সমস্যা হবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ১৭/১ পোল্ডারের মধ্যে যদি একজন ধান চাষ করে, সেক্ষেত্রে আমার সাপোর্ট থাকবে। তবে ধান চাষ বাদ রেখে মাছ চাষের কোনো সুযোগ নেই।
এসএম/এনএন