For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

যশোরে মাকে হত্যার অভিযোগ মেয়ের বিরুদ্ধে

Published : Sunday, 25 December, 2022 at 12:36 PM Count : 150

যশোরে মেয়ের বিরুদ্ধে নিজ মা-কে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মেয়ে পলাতক রয়েছে।

গতকাল শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের দোগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। 

জানা যায়, দোগাছিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য শাহাজান আলীর স্ত্রী আকলিমা বেগম (৫৫) ও বাড়িতে থাকা তার তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে রুমা খাতুনের (২৭) মধ্যে শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সাংসারিক কাজ নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মেয়ে রুমা খাতুন তার মাকে জোরে ধাক্কা দিলে তিনি পাশে থাকা টিউবওয়েলের উপর পড়ে যান। গুরুত্বর আহত অবস্থায় প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে পল্লী চিকিৎসক হয়রত আলীকে ডেকে আনেন।

উপস্থিত প্রতিবেশীদের ভাষ্যমতে, পল্লী চিকিৎসক আসার আগেই আকলিমা বেগম মারা যান। ঘটনার পরপরই রুমা খাতুন পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
খবরটি মুহূর্তেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে হাজির হয় সাজিয়ালী ফাঁড়ি পুলিশ।তারা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০শস্যা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। 

সাজিয়ালী ফাঁড়ি পুলিশের এসআই সেলিম হোসেন জানান, যেহেতেু মৃত্যুটি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে এবং ঘটনার পরপরই মেয়ে পলাতক রয়েছে সেহেতু লাশটি ময়নাদতন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাদতন্তের রির্পোট পেলে বোঝা যাবে এটি হত্যা না কি প্রেসারজনিত মৃত্যু।পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।

নিহত আকলিমার স্বামী শাহাজান আলী জানান, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। মাঠে গরুকে ঘাস খাওয়াতে গিয়েছিলেন। পরে ছেলের কাছ থেকে শুনতে পারেন তার স্ত্রী প্রেসার বৃদ্ধি পেয়ে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। মা-মেয়ের ঝগড়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

মেয়ের হাতে মা মারা গেছে এমন সংবাদ এলাকায় জানাজানি হয়ে পড়লে নিহতের বাড়িতে শতশত লোক ভিড় জমায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি মেয়েই মাকে হত্যা করেছে বলে সাংবাদিকদের নিকট জানিয়েছেন।

এদিকে মেয়েকে বাঁচাতে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে নিহতের পরিবারের স্বজনরা। তারা পুলিশের নিকট দাবি করছে, প্রেসার বেড়ে আকলিমা বেগম মারা গেছে। এলাকাবাসীর দাবি আকলিমার মেয়ে রুমা খাতুন ঘটনার পরপরই পালিয়ে গেছে। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসা করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। ঘটনার পর পুলিশের কয়েকটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এসকে/এনএন

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,