For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস

Published : Friday, 23 December, 2022 at 2:42 PM Count : 96

পৌষের শুরু থেকে তীব্র শীতে কাঁপছে দেশের উত্তরের জনপথ। উত্তরের জনপথ কুড়িগ্রামেফুলবাড়ীতে তীব্র শীতে এ অঞ্চলের নিম্নআয়ের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। তীব্র ঠান্ডায় থেমে নেই তাদের কর্মযজ্ঞ।

পৌষের সকালে শিশির ভেজা ঘন কুয়াশা ও  তীব্র ঠান্ডার মাঝেও জীবিকার সন্ধানে খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিস্তির্ণ ফসলের মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই তীব্র ঠান্ডায় কাজে যেতে পারেনি। ফলে হাঁড়-কাঁপানো ঠান্ডায় বাড়ীতে অলস সময় পাড় করার পাশাপাশি খর-কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা খেটে খাওয়া সাধারণ কর্মজীবী মানুষ। 

শুক্রবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল চারদিক। ফলে রাস্তায় হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের তীব্রতায় সব থেকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও। এমতাবস্থায় ডিসেম্বর মাসের শেষের কয়েকদিন ও নতুন বছরের জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহের শুরতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলে আশংকা করছেন আবহাওয়া অফিস।  

উপজেলার কুরুষাফেরুষা এলাকার দিন বাবলু চন্দ্র রায় (৫৫) জানান, তীব্র ঠান্ডা থাকলেও ঘরে বসে থাকলে তো আমার পেট চলবে না। কাজে না গেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে থাকতে হবে। তাই শীতের মাঝেও বাধ্য হয়ে কাজে বেড়িয়েছি। 
একই এলাকার মালেকা বেগম (৪৫) সহ কয়েকজন নারী শ্রমিক শীতের সকালে কাজে যোগ দিয়েছেন।

কুরুষাফেরুষা এলাকার দিনমজুর কাসেম আলী (৫২) ও তার ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩২) জানান, গত দুই দিন ঘন কুয়াশা ও হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডা দেখা দেওয়ায় আমরা বাপ-ছেলে কাজে যেতে পারেনি। পরিবারের সবাই মিলে খর-কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছেন। 

নাওডাঙ্গা এলাকার অটোচালক গোলজার হোসেন ও ভ্যানচালক হাক্কু মিয়া জানান, বাহে ঠান্ডার ঠ্যালায় কাজে বের হতে পারিনি। এ রকম ঠান্ডা থাকলে আমাদের দুর্ভোগ বাড়বে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে জেলা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীতে এ তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। সেই সঙ্গে চলতি মাসের শেষের দিকে ও জানুয়ারির শুরুতে দেশের উত্তরের জনপথে মৃদু অথবা মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। 

-এসি/এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,