কয়রা মৎস্য অফিসে জনবল সংকট
Published : Tuesday, 20 December, 2022 at 9:32 PM Count : 269
খুলনার কয়রা উপজেলা মৎস্য অফিসে জনবল সংকটের কারণে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। মৎস্য কর্মকর্তা ও অফিস সহায়ক চালাচ্ছেন গুরত্বপূর্ণ এ অফিসের কার্যক্রম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা মৎস্য অফিসে পাঁচ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও সেখানে রয়েছে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ও অফিস সহায়ক একজন নারী। দীর্ঘদিন ধরে খালী রয়েছে সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা, অফিস সহকারী ও ক্ষেত্র সহকারীর পদ। সাদা সোনাখ্যাত বাগদা চিংড়ির রাজ্যে একজন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারী অফিসসহ সমস্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। জনবল কম থাকায় কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মৎস্য চাষীরা।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কয়রা উপজেলায় সাদা সোনাখ্যাত বাগদা চিংড়ি চাষ হয়েছে পাঁচ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে চার হাজার ২০০টি ঘেরে। গলদার চাষ হয়েছে ৪৭০ হেক্টর জমিতে ৫৪০টি ঘেরে। কাঁকড়ার খামার রয়েছে ৩১ হেক্টর জমিতে ১৩০টি ঘেরে। মাছ চাষি রয়েছেন ১১ হাজার ২৫০ জন, মৎস্যজীবী রয়েছেন ১৩ হাজার ৫২৬ জন।
কয়রা সদর ইউনিয়নের গোবরা গ্রামের মৎস্য চাষি আব্দুল গফফার ঢালী বলেন, খুলনা জেলার মধ্যে মৎস্য সেক্টরের জন্য কয়রা উপজেলাটি গুরত্বপূর্ণ। সেই অফিসে জনবল কম থাকায় আমাদের প্রয়োজনে সময়মত কর্মকর্তাকে পাইনা।
কয়রা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক বলেন, সুন্দরবন বাদে ২৬৩ দশমিক ১২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে কয়রা উপজেলা। মৎস্য সেক্টরের জন্য উপজেলাটি গুরত্বপূর্ণ হলেও বিভিন্ন পদে জনবল শুন্য থাকায় অফিসের কাজকর্ম অনেক সময় ব্যাহত হয়।
খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, জনবল সংকট থাকার কারণে অনেকগুলো পদ খালি আছে। যে কারণে শুন্য পদে পদায়ন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. তোফাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার জনবল নিয়োগ দিলে কয়রা মৎস্য অফিসের শুন্য পদে পদায়ন করা হবে।
-এসএম/এমএ