মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গেণে স্বরচিত কবিতা পাঠ, আবৃত্তি ও দেশের গানের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে একাডেমির কর্মকর্তা, শিল্পী ও কর্মচারীবৃন্দ সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
বিকেল ৪টার দিকে একাডেমির নন্দনমঞ্চে শিশু শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একক সংগীত পরিবেশন করেন শিশু শিল্পী সায়কা নাজিফা বাবন, আনিকা ইবনাত নমিরা (স্পর্শ ব্রেইল), আজমাইন মাহির ইভান, হাবিবা আক্তার লোপা (স্পর্শ ব্রেইল)।
দলীয় নৃত্য ‘বীরপুরুষ’ ও ‘আমি ধন্য হয়েছি’ পরিবেশন করেছেন একাডেমির শিশু নৃত্যদল।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু শিল্পীদের দল কারিশমা ‘স্বাধীনতা এই শব্দটি আমাদের’ এর সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে একাডেমির নন্দন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সমেবেত নৃত্য, সমবেত সংগীত, কবিতা পাঠ ও অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী। এছাড়া অনুষ্ঠানস্থলে গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটারের পোস্টার প্রদর্শনী হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন ‘তুমি বাংলার দ্রুবতারা’ গানের সঙ্গে একাডেমির প্রতিশ্রুতিশীল নৃত্য শিল্পীবৃন্দ; ‘প্রতিদিন তোমায় দেখি’ গানের সঙ্গে নৃত্যালোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র; ‘পদ্মাসেতু বিজয় গাঁথা ও বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ’ গানের সঙ্গে সৃষ্টি নৃত্য দল; ‘বুকের ভিতর আকাশ নিয়ে’ গানের সঙ্গে নৃত্যম; ‘স্বাধীন স্বাধীন দিকে’ গানের সঙ্গে নন্দন কলাকেন্দ্র; ‘দে তালি বাঙ্গালী’ গানের সঙ্গে নৃত্যালোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র; ‘কারার ঐ লৌহ কপাট ও শিকল পরা ছল মোদের’ গানের সঙ্গে রেওয়াজ পারফর্মিং আর্টস সেন্টার; প্রদীপ নাচ করেছেন অন্তর দেওয়ান ও তার দল।
একক সংগীত পরিবেশন করেছেন শিল্পী রোমানা ইসলাম খান, শাহীন হোসেন, সুষমা বিশ্বাস, সিরজুস সালেকিন, ইউসুফ খান, পুজা দাস তান্নি, আলমিনা নীতু, জি এম রহমান রনী, সানজিদা লাভলী, জেবুন্নেছা নিঝুম।
সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন রবীন্দ্র সংগীত সমন্বয় পরিষেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ, বাংলাদেশ সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের শিল্পীবৃন্দ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন ফারজানা করিম ও দিলরুবা সাথি।
-এমএ