বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় জনসভা শনিবার (১২ নভেম্বর)। বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নেতাকর্মীদের নামে মামলা-হামলা, গুম-খুনের প্রতিবাদ এবং বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ বিভাগীয় জনসভা।
অপরদিকে মহাসড়কে সব ধরনের অবৈধ থ্রি–হুইলার (নছিমন, করিমন, ভটভটি, মাহিন্দ্র, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল) চলাচল বন্ধের দাবিতে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শনিবার (১২ নভেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত রাজবাড়ীতে ৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে রাজবাড়ী বাস মালিক সমিতি। ধর্মঘটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। গন্তব্যে যেতে তাদের গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া।
আজ সরেজমিন
দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায় বাস, ঘাটে তেমন একটা যানবাহন নেই বললেই চলে। অল্প কিছু মোটর সাইকেল আর কিছু ট্রাক। একেকটা ফেরি এক-দুই ঘন্টা দেরি করে ছেড়ে যাচ্ছে পাটুরিয়ার উদ্দেশ্য। লঞ্চে যাত্রী এপারে এসে মহাসমস্যায় পড়ছে। ধর্মঘট চললেও মহাসড়কগুলোতে মাহেন্দ্র, ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা, অটোভ্যান দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে যাত্রীরা পড়েছে ভোগান্তিতে। দ্বিগুণ ভাড়া বেশি দিয়ে তিন চাকার যানবাহনে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের।
আরমান হোসেন নামে এক যাত্রী লঞ্চ থেকে নেমে যাবেন মাগুরা। মাহিন্দ্র থাকলেও ভাড়া চাচ্ছে দুইগুণ তিনগুণ। তিনি বলেন, মাগুরার ভাড়া চাচ্ছে তিনশত টাকা। বাসে যেখানে একশত টাকা লাগে। সেখানে তারা দেড়শত বা দুইশত টাকা নিতে পারে।
মাহিন্দ্র চালক কুদ্দুস বলেন, মহাসড়ক দিয়ে যাওয়া যায় না। ভিতর দিয়ে গ্রামের রাস্তা ধরে যেতে হবে। এই জন্য ভাড়া বেশি।
মোঃ কুরবান আলী বলেন, ‘জরুরি কাজে ঢাকায় যেতে হবে। অটোরিকশায় রাজবাড়ী পর্যন্ত এসেছি। রাজবাড়ী থেকে আশি টাকায় ঘাটে আসলাম। জানিনা ওপারে গিয়ে কি অবস্থা হবে।
আমেনা বেগম বলেন, খুব খারপ লাগছে। সড়কে কোন গাড়ি নেই। রিক্সা আর অটোরিকশা চলাচল করছে। গোয়ালন্দ মোড়ে যাবো তাই একটা রিক্সা ভাড়া করলাম। ভাড়া দেওয়া লাগবে তিনগুন। শুনছি ফরিদপুর বিএনপির সমাবেশ রয়েছে। যে কারণে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে তো সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ছে।
জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণত সম্পাদক মুরাদ হাসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলছে। এসব যানবাহনের কারনে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব অবৈধ যানবাহন বন্ধের জন্য এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি'র দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, বর্তমানে এ নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। রুটে ছোট-বড় মিলে ১০টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করছে। তবে ঘাটে গাড়ির চাপ নেই। সকাল থেকেই মোটরসাইকেল ও কিছু কাভার্ডভ্যান আসছে। দুই একটা বাস চলাচল করছে।
এসআই/এসআর