For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

'ভোক্তা অধিকারের নতুন আইন আরও কঠোর হচ্ছে'

Published : Thursday, 10 November, 2022 at 5:18 PM Count : 137

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, 'ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী আমরা যে জরিমানা বা দণ্ড দিচ্ছি তা অপরাধ অনুযায়ী যথেষ্ট নয়। ভোক্তা অধিকারের নতুন আইন আরও কঠোর করা হচ্ছে।'

বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে গণমাধ্যম কর্মীদের অংশগ্রহণে 'ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯' অবহিতকরণ বিষয়ে একটি সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, 'চট্টগ্রামে একটি শিশু খাদ্যের গুদামে অভিযান চালানো হয়েছিল। সেখানে দুই বছর আগে মেয়াদ শেষ হওয়া হাজার হাজার বস্তা গুড়া দুধ গুদামে রাখা হয়েছে। যা বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। এটা একটা বড় অপরাধ। দুই বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ গুড়া দুধ এগুলো তো বিষ। এই বিষ খাওয়াচ্ছে আমাদের শিশুদের। এটা তো শিশু হত্যা ছাড়া আর কিছু নয়। এই অপরাধের যে মাত্রা সে অনুযায়ী আমাদের আইন মেনে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু এটি তো যথেষ্ট নয়। এক্ষেত্রে আমরা নতুন আইনে এটি আরও কঠোরতম অবস্থানে কিভাবে যাওয়া যায় সেদিক নিয়ে কাজ করছি। নতুন আইন অনুযায়ী অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিষয়টি রয়েছে।'

ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ নিয়ে তিনি বলেন, '২০০৯ সালে যখন আমাদের এই আইন পাশ হয়, তখনকার প্রেক্ষাপট আর এখন ১৩ বছর পরের প্রেক্ষাপট অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বিশেষ করে ই-কমার্স ইস্যূটা তখন ছিল না। ই-কমার্স সেক্টরে আমাদের অধিদপ্তরে হাজার হাজার মামলা পেন্ডিং হয়ে আছে। অনেক অনলাইনের মালিক পলাতক রয়েছে। তাদের কাছে আমরা পৌঁছাতে পারছি না। নতুন আইনে ই-কমার্স নিয়ে আলাদা একটা চ্যাপ্টার থাকবে।'
ভোক্তার ডিজি বলেন, 'কিছু কিছু ব্যবসায়ী অতি মুনাফাখোর বা যারা অসৎ চর্চা করে তারা প্রতিটা ক্ষেত্রেই সুযোগ বা অজুহাতের অপেক্ষায় থাকে। আমি এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রমাণও পেয়েছি। ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে গত রমজানের আগে মার্কেট আউট। এরপর আমরা অভিযান চালিয়ে লক্ষ লক্ষ লিটার তেল গুদাম থেকে উদ্ধার করলাম। ডিমের ক্রাইসিসের সময়ও আমরা দেখেছি ১০ টাকার ডিম ১৫ টাকা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে ব্যাপক ভাবে অভিযান করায় আবার ডিমের দাম নেমে আসলো।'

অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, 'জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মতো সিমিলার নাম দিয়ে প্রচুর সংগঠন দাঁড়িয়েছে। তারা নোটিশ করে মানুষকে ডাকছে। তারা বিকাশে মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে। তারা বিভিন্ন জেলায় ইন্সপেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সেই ইন্সপেক্টররা বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজী করছে। এ বিষয়গুলো আমাদের নজরে আসার পর আমরা লিগাল এ্যাকশন নিয়েছে। এর পরও এ ধরনের প্রতারণা চলছে। গতকালও (বুধবার) আমাকে একজন কল করে বললো ভোক্তার নামে বিকাশে টাকা চাচ্ছে। এসব প্রতারণার কারণে আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হচ্ছে। একজন সাধারণ মানুষ তো আর বুঝবে না ওটা ভূয়া প্রতিষ্ঠান।'

তিনি বলেন, 'সরকার যেসব পণ্যের প্রাইজ নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেই জায়গাগুলোতে হঠাৎ করে দেখা যাচ্ছে একটা আর্টিফিশিয়াল প্রাইজ বেড়ে যাচ্ছে। এবং এই প্রাইজ বৃদ্ধি সচেতন ভাবে করা হচ্ছে। তারা অতি মুনাফার লোভে এই কঠিন সময়েও মানুষের পকেট কাটার জন্যই এই কার্যক্রম করছে। ডিম, তেল এবং চিনির ক্ষেত্রে এটা ঘটেছে। খুচরা বাজারে অভিযান করলে বলছে পাইকারী বাজার এটা করছে। আবার পাইকারী বাজার ডিলারদের উপর দোষ চাপাচ্ছে। ডিলাররা মিল মালিক বা উৎপাদনকারীর উপর দোষ দিচ্ছে। আমরা সব সেক্টরেই কিন্তু তদারকি করছি।'

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। 

সে সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল আলম, প্রশিক্ষণ ও মানোন্নয়ন উপকমিটির আহ্বায়ক ভানু রঞ্জন চক্রবর্তী।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

সেমিনারে উপস্থিত সাংবাদিকদের ভোক্তা অধিকার আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

-আরইউ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,