For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

ঢাকায় সবার মানসম্পন্ন আবাসন নিশ্চিত করার দাবি

Published : Monday, 26 September, 2022 at 6:17 PM Count : 119



বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রাক্কলিত জনসংখ্যা, প্রস্তাবিত উন্নয়ন এবং সাম্যতার ভিত্তিতে সবার আবাসন নিশ্চিত করেই কেবল এলাকাভিত্তিক জনঘনত্ব ও এফআর নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় এই দাবি জানানো হয়।
ঢাকা মহানগরীর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (২০১৬-২০৩৫) প্রজ্ঞাপন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এখন ঘুষ ও উৎকোচের কারখানায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন অংশীজন সম্মেলনে অংশ নেওয়া বক্তারা। সেখানে আরও বলা হয়, ঘুষ দিলে ভুল প্ল্যান পাস হয়ে যায়।

বক্তারা বলেন, ড্যাপ গেজেটভুক্ত হয়েছে কিন্তু এখানে অনেক ভুল রয়ে গেছে। এখানে বলা হয়েছে, ঢাকার ৬৪ শতাংশ ভবন হবে এক থেকে দোতলা। এটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত। এতে করে বাড়ি মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

বক্তারা আরও বলেন, ড্যাপের এমন পরিকল্পনার কারণে মানুষ অবৈধ ভাবে ভবন বানাবে বেশি। এছাড়া ঘুষ দিয়ে প্ল্যান পাসের প্রবণতাও মারাত্মক রকম বাড়বে।

ঘুষ দিয়ে ভুল প্ল্যান পাস করার কারণে ড্যাপের কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার দাবিও জানান বক্তারা।

বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি ও স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, 'ঢাকা শহরে এখন যারা আছেন তারাই যেন সুস্থ, সুন্দর ভাবে নিরাপদে সব নাগরিক সুবিধাসহ থাকতে পারেন প্রথমে সেই ব্যবস্থাই করতে হবে। ঢাকায় মানুষ প্রবেশ আমরা বন্ধ করতে পারছি না, তাই সেবার পরিধি, ব্যবস্থা সেভাবেই করতে হবে। শহরের বর্তমান অপ্রতুল অবকাঠামো এবং সেবা সরবরাহ লাইনকে টেকসই বিনিয়োগের মাধ্যমে উন্নতর ও সম্প্রসারিত করে সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতের মাধ্যমেই মানসম্পন্ন আবাসন সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব।'

আলোচনায় মূল বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ স্থাপতি ইনস্টিটিউটের ড্যাপ বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের কনভেনর স্থপতি ইকবাল হাবিব।

ইনস্টিটিউটের পক্ষে তিনি আরও দাবি তুলে ধরে বলেন, 'ড্যাপে প্রস্তাবিত উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থানের উৎস, সংশ্লিষ্ট উদ্যোগী সংস্থার দায়বদ্ধতা ও বাস্তবায়ন সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক নয় বরং কারিগরি দক্ষ জনবলভিত্তিক কাঠামো পুনর্গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি।'

স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, 'কৃষি জমিতে কোন ধরনের শর্তসাপেক্ষে উন্নয়ন বা ভূমি ব্যবহার পরিবর্তনের সুযোগ সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে। সেই সঙ্গে বন্যা প্রবাহ অঞ্চল এবং নদী কমিশন চিহ্নিত ৬৪টি খালসহ সব জলাধার সংরক্ষণ এবং এর উন্নয়নে জিরো টলারেন্স নীতিমালা নিশ্চিত করতে হবে।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট মনে করে রাজউক তার বর্তমান কাঠামোর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার মতো বহুমাত্রিক ও কারিগরি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সামর্থ্যবান নয়। আর এ জন্য দ্রুতই রাজউককে পেশাজীবী নেতৃত্বে পুনর্গঠন ও পুনর্বিন্যাস করে কিংবা পেশাজীবী নির্ভর একটি ভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে এ পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।'

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী আওয়াল, রিহ্যাব প্রতিনিধি সোহেল রানা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেম, ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

-আরইউ/এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,