কাপ্তাইয়ে আগর বনায়নে ১৫ বছর মেয়াদ প্রায় শেষ, হতাশায় চাষিরা
Published : Wednesday, 21 September, 2022 at 1:40 PM Count : 100
রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে আগর বনায়নে বন বিভাগের সাথে চুক্তিভিত্তিক ১৫ বছর শেষ হলেও এতে কোনো সুফল না পেয়ে হতাশ চাষিরা।
পরীক্ষকামূলক আগর উৎপাদন করে মান বোঝা যাবে। উৎপাদনে ভালো কিছু পেলে উভয়ের সফলতা আসবে। সিলেট বড়লেখা হতে আগর চাষ ও উৎপাদনে অভিজ্ঞ কিছু লোক কাপ্তাই আগর বাগান সরজমিনে পরিদর্শন করেন এবং এর সফলতা ও বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেন। রাঙ্গামাটি পার্বত্য চট্রগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ ২০০৭-২০০৮সালে ১৫বছরের জন্য কাপ্তাই একটি আগর চাষ প্রকল্প হাতে নেয়।
বন বিভাগের সাথে স্থানীয় প্রায় দেড়শ জন আগর চাষি অংশীদারভিত্তিতে চুক্তিবদ্ধ হয়। ১৫ বছর শেষ। পার্বত্যঞ্চলে এ ধরনের চাষ এটিই প্রথম বলে আগর চাষিরা জানান।
আগর চাষী জাহাঙ্গীর আলম,স্বপন বড়ুয়া,প্রদীপ দে নজরুল ইসলাম এরা জানান,আগর লাভের আশায় ১৫ বছর যাবৎ লাখ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। কিন্ত কখন এর সুফল পাব জানি না। বন বিভাগের সাথে এ বিষয়ে একাধিকবার বৈঠকে বসার চেষ্টা করেও বর্থ হয়েছি। কেউ এ প্রকল্পের বিষয়ে আগর চাষিদের সুষ্ঠু সমাধান দেয়নি।
কাপ্তাই আগর চাষি সমিতির সভাপতি কাজী মাকসুদুর রহমান বাবুল জানান, বন বিভাগের সাথে অংশীদার ভিত্তিত্বে ১৫ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হই লাভের আশায়। কিন্ত বন বিভাগের এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। আগর ১৫ বছর পূর্ণ হলে করণীয় কি? সে ব্যাপারেও কোনো সুষ্ঠু সুরাহা দেয়নি।
চলতি সেপ্টেম্বর মাসে সিলেট হতে আগর চাষে অভিজ্ঞদের কাপ্তাই আগর বাগানে আনা হয়। পর্যবেক্ষক প্রফেসর আবদুল ছবুর জানান, আগে একটি বাগান পরীক্ষামূলক উৎপাদন করলে এর কতটুকু মান বা আগর আসছে কি না তা বোঝা যাবে। তবে আগর চাষে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।
রাঙ্গামাটি দক্ষিণ বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকর মাহামুদুল হক মুরাদ জানান, বিষটি আমার একার নয়। এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা বা বৈঠক বসলে সমাধান হবে এবং উভয়ে এর সুফল পাবে। আগর সমিতির লোকজন জানান, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে কাপ্তাইয়ে একটি বৈঠক বসার কথা রয়েছে।
কেএইচ/এনএন