৩ দিন পরও স্কুলছাত্রের লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ
Published : Sunday, 11 September, 2022 at 2:31 PM Count : 95
৩ দিন পেরিয়ে গেলেও দিনাজপুর সদর উপজেলার দাইনুর সীমান্তে গুলি করে হত্যা করা স্কুলছাত্রের লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ। দুই দেশের বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠকের পরও লাশ ফেরত পাওয়া যায়নি।
রবিবার বেলা ১ টা পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ৮৪ ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও লাশ ফেরত না পাওয়ায় হতাশ নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
নিহতের চাচাতো ভাই ওয়াজেদ আলী (৩৫) জানান, শনিবার ভারতের ভাদড়া হরিহর পুর বিএসএফ সীমান্ত ফাঁড়ির জোয়ানদের সঙ্গে বাংলাদেশের বিজিবি দাইনুর সীমান্ত ফাঁড়ির পতাকা বৈঠক সীমান্তের ৩১৪/৭ এস পিলারের কাছে অনুষ্ঠিত হয। এ বৈঠকে নিহত মিনহাজুল ইসলাম মিনাজের ছবি দেখে তার পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। নিহত মিনারের মরদেহ রোবিবার ভারতের গঙ্গারামপুর থানার হেফাজতে রয়েছে বলে তাদেরকে বিএসএফ জানিয়েছে। তারা লাশ ফেরত দিতে রাজি হয়েছে। কিন্তু কখন কথায় কিভাবে লাশ ফেরত দেয়া হবে তা জানায়নি। পরবর্তীতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে নিহতের পিতাকে জানানো হয়। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার কারণে লাশ ফেরত পাবেন কি না তা নিয়ে পরিবারের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
বৈঠক শেষে ফিরে আসার পর নিহতের পিতা জাহাঙ্গীর হোসেনকে দাইনুর সীমান্ত ফাঁড়ির ভিতরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে জাহাঙ্গীর হোসেন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে এক প্রতিবেশী গিয়ে তাকে ইজিবাইকে করে নিয়ে আসেন। এ সময় নিহতের চাচাতো ভাই ওয়াজেদ আলী বিজিবি তাদের সঠিকভাবে সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে দাইনুর বিওপি কমান্ডার নায়েক সুবেদার আকতার হোসেনের কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি পতাকা বৈঠকের কথা এড়িয়ে যান এবং কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাত ১১টা সময় পাঁচজন শুটকি ব্যবাসায়ী দাইনুর বিওপি ৩১৫ নাম্বার মেইন পিলারের সীমান্তের কাছে গেলে গুলি চালায় বিএসএফ সদস্যরা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় খানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র মিনহাজুল ইসলাম মিনাজ (১৬)।
নিখোঁজ দুই বাংলাদেশি হলেন একই ইউনিয়নের খানপুর এলাকার লতিফুরের ছেলে এমদাদুল (২৮) ও সালমানের ছেলে সাগর (২০)।
নিহত মিনারের মরদেহ ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর তেলিয়াপাড়া এলাকায় ধান ক্ষেতে পড়ে ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএসএফ তার লাশ গঙ্গারামপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এএইচ/এনএন