দেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে তরুণদের শিক্ষা-দীক্ষায় দক্ষ হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুবসমাজ আমাদের অনেক বড় একটা শক্তি। ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রধান কারিগর হবে যুবসমাজ
রোববার গণভবনে আয়োজিত ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় সরকার দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য উপযুক্ত জনশক্তি তৈরি করতে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবসমাজকে সুশিক্ষিত করতে ক্ষমতায় এসেই কাজ শুরু করে আওয়ামী লীগ। করোনার মাঝে যুবসমাজই সবার আগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, যা পুরো জাতির জন্য উৎসাহের কারণ।’
শেখ হাসিনা বলেন, একটি দেশের প্রকৃত সম্পদ যুবকরা। দেশের নেতৃত্ব তারাই দিতে পারে, দেশকে নিয়ে যেতে পারে উন্নতির শিখরে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তাই যুবসমাজের উন্নয়নে তিনি ব্যাপকভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন।
‘স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন এদেশের যুবকরা। এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন যুবকরাই’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুব সমাজের উন্নয়নের ধারাবাহিতকায় ছেদ পড়ে জাতির পিতাকে হত্যার পর। ৭৫ এর পর সামরিক সরকার ক্ষমতা দখল করেন। জাতির পিতাকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেছিলেন। সেই জিয়াউর রহমান যুব সমাজের হাতে অস্ত্র, মাদক তুলে দিয়ে তাদেরকে বিপথে পরিচালিত করেছিলেন। তিনি যুব সমাজের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে নিজের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ থেকে যুবকদের নিয়ে কিছু অংশ পাঠ করেন শেখ হাসিনা।
এনএন