ভোক্তায় অভিযোগ করে প্রতিকার পেলেন যারা
Published : Tuesday, 6 September, 2022 at 4:04 PM Count : 228
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দ্বারা প্রতারিত হয়ে জাতীয়
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করে প্রতিকার পেয়েছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে আজ ১৬ জনকে এক লাখ ২৬ হাজার টাকা প্রদান করে ভোক্তা অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার সকালে ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগকারীগণের হাতে এসব টাকা তুলে দেওয়া হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে যা আছে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছ থেকে কোনো পণ্য বা সেবা নিয়ে কেউ প্রতারিত হলে তিনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে পারেন। পরে তদন্ত বা শুনানি শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে জরিমানা করা হয়। আইন অনুযায়ী জরিমানার টাকার ২৫ শতাংশ পান অভিযোগকারী। বাকি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আদায় করা জরিমানার অংশ থেকে তাঁদের এই টাকা দেওয়া হয়েছে।
টাকা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন-সোনারগাঁও জুয়েলার্স নামের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা পেয়েছেন ডা. লুৎফুন্নহার লনী, সেন্ট মার্টিন পরিবহনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে ১০ হাজার টাকা পেয়েছেন আবু মনসুর আল মামুন, টেস্টি ট্রিট এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে ২ হাজার ৫০০ টাকা পেয়েছেন শাহনেওয়াজ সিরাজ, সুলতান টাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে ২ হাজার ৫০০ টাকা পেয়েছেন পারভেজ প্রামানিক, ২ হাজার ৫০০ টাকা পেয়েছেন বাপ্পি নামের আরেক অভিযোগকারী। তিনি লাজ ফার্মা লিমিটেডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিলেন। পিকাবো এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে দুই হাজার টাকা পেয়েছেন রাফসান আহমেদ।
মেসার্স সিয়াম ফুল কালেকশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা পেয়েছেন মো. ইমতিয়াজ হুসাইন, আলী ২ বিজি নামের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে দুই হাজার ৫০০ টাকা পেয়েছেন শুভ দেবনাথ। এছাড়াও আফরিন সারওয়ার দুই হাজার ৫০০ টাকা, আসিফ মো. ইমরান ১২ হাজার ৫০০ টাকা, আয়শা আকন্দ ১০ হাজার টাকা, নাহিদ সুলতানা ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা, মো. মাহবুব আলম এক হাজার ২৫০ টাকা, মো. দেলোয়ার হোসাইন এক হাজার ২৫০ টাকা, আজিম মোল্যা ৫০০ টাকা এবং রমেশ চন্দ্র সিং দুই হাজার ৫০০ টাকা পেয়েছেন।
ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অভিযোগকারীগণ। ভোক্তা হিসেবে কোথাও গিয়ে প্রতারিত হলে অন্য কোথাও না গিয়ে সরাসরি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে এসে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন তারা।
এ সময় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ভোক্তারা আগের থেকে এখন অনেক বেশি সচেতন হচ্ছেন। গত এক বছরে যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে সে তুলনায় গত দু মাসে ভোক্তা অধিদপ্তরে একই অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
আরইউ