For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

পানির অভাবে আমন চাষ ব্যাহত, সেচে বাড়ছে খরচ

Published : Sunday, 21 August, 2022 at 7:30 PM Count : 198

চট্টগ্রামেবোয়ালখালীতে পানির অভাবে আমন চাষ ব্যাহত হচ্ছে। সেচ দিয়ে চাষ করতে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন চাষিরা। আমন চাষ বৃষ্টি নির্ভর হওয়ায় বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলেন কৃষকরা। বর্ষা শেষ, জমিতে পানি নেই। বিলম্বে বিকল্প ব্যবস্থায় অগভীর নলকূপের (শ্যালো মেশিন) সেচ দিয়ে আমন চাষ করছেন কিছু কিছু চাষি।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে প্রভাব পড়েছে আমন মৌসুমের প্রান্তিক চাষিদের উপর। ফলে দেনার উপর দেনা কাঁধে নিয়ে কষ্টের শেষ সীমা অতিক্রম করছেন চাষিরা।

জানা যায়, বৃষ্টির মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় এবং রোদের প্রখর তেজের কারণে সংকুলান হচ্ছে না সেচে। শুকিয়ে যাচ্ছে রোপা আমন ক্ষেত। তিন-চার দিন পর পর পানি দিয়েও মাটি ভিজিয়ে রাখা যাচ্ছে না। দ্রুতই মাটি ফেটে যাওয়ায় সেচের পানি তেমন কাজে আসছে না। ফলে বাড়ছে চাষের খরচ।

দুঃখ প্রকাশ করে কথাগুলো বলছিলেন উপজেলার আমুচিয়ার ইউনিয়নে কৃষক শাহ আলম, আবু জাফর মেম্বার, মাষ্টার বাবর, আহমদ ছৈয়দ ও স্বপন বড়ুয়া। 
তারা জানান, প্রতি শতকে ৪০ টাকা বা ঘণ্টায় ১৭০ টাকা হিসাবে সেচ দিয়ে জমি ভেজাতে হচ্ছে। জনপ্রতি দুই/তিন একর জমি থাকলেও অর্ধেকের বেশি জমিতে চাষ হয়নি। আগের তুলনায় পাঁচগুন খরচ বৃদ্ধি হওয়ায় ৪০ শতক জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করছেন। 

বিটু বড়ুয়া বলেন, বর্ষায় বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকলেও আশানুরূপ বৃষ্টি হয়নি। ফলে জমিতে চাষ দেওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে সেচ দিয়ে কিছু জমিতে চাষ করছি। কাটা-মাড়াইয়ের খরচ বাদে আমন চাষে প্রতি ৪০ শতকে এখন খরচ হচ্ছে ১৬ হাজার টাকা।
উপজেলার বগাচরা ও মগ বিলে চাষকৃত জমিতে আমনে চারা রোপণ করলেও পানির অভাবে শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ধানের চারাগুলো লাল হয়ে গেছে।

এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন উত্তম বড়ুয়া ও অমিয় বড়ুয়া। তারা বলেন, উপজেলার হক খালে ব্রিজ নির্মাণের কারণে বর্ষার শুরুতে খালে বাঁধ দেন ঠিকাদার। এতে পর্যাপ্ত জোয়ারের পানি পাননি। তেমন বৃষ্টিও হয়নি। ফলে আমন ধানের রোপণকৃত চারা মরে যাচ্ছে। বগাচরা বিলে প্রায় ৪০০ একর জমির মধ্যে আমনের চাষ হয়েছে প্রায় ৫০ একর জমিতে, দক্ষিণ ও মগ বিলে প্রায় ৩০০ একর জমির মধ্যে চাষ হয়েছে ৩০/৩৫ একর জমিতে। এদিকে আমুচিয়া নাগাডা বিল, ভুরি বিল, পূর্ব ধোরলা, আহলা সাধারপাড়া, চৌধুরী পাড়া ও করলডেঙ্গা উত্তর ভূর্ষি বিলের প্রায়ই জমিতে আমন চাষ হয়নি।

কৃষকরা জানান, স্বাভাবিক নিয়মে চাষ হলে যে খরচ হতো এবার তার দুই-তিনগুন খরচ বেড়ে গেছে। এছাড়া উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে বোয়ালখালীতে চার হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আমন চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। যার মধ্যে বেশির ভাগ জমিতে চাষ হয়েছে ব্রি-২৮। এছাড়া রয়েছে ব্রি-৩৯, ব্রি-৪৯, ব্রি-৫২, ব্রি-৮৭, বিআর-২২ ও বিআর-২৩ জাতের ধান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লাহ বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় এবার আমন ধান চাষ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে।

তবে লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে না বলে আশা করছেন তিনি।

-একে/এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,