স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে কলেজছাত্রীর অনশন
Published : Friday, 22 July, 2022 at 9:36 PM Count : 311
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ফাতেমা আক্তার (১৮) নামের এক কলেজছাত্রীর অনশনের খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের কাশেমপুর তাহের মাষ্টার বাড়িতে অনশনে বসেন ওই শিক্ষার্থী।
স্বামী রাকিব হোসেন একই ইউনিয়নের দেশগাঁও জয়নাল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কাশিমপুর গ্রামের তাহের মাষ্টার বাড়ির আবু তাহের মাস্টারের ছেলে। সে একই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
এদিকে, ফাতেমা আক্তারের উপস্থিতি টের পেয়ে তাৎক্ষণিক বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় রাকিব হোসেন।
বিকেলে বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আজিজ-১ ও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু।
অনশনে বসা ফাতেমা আক্তার জানান, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক থাকার পর গত ১৪ জুলাই চাঁদপুর নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে তারা বিয়ে করে। ওই দিন রাকিব তাকে নিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারে তার বোনের বাসায় উঠে। সেখানে রাত্রিযাপনের পরের দিন তাকে নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
তিনি জানান, বাবা-মায়ের সম্মতি নিয়ে রাকিব তার বাড়িতে আমাকে নিয়ে যাবে। কিন্তু বিয়ের এক সপ্তাহ পার না হতেই সে আমাকে তালাকনামা পাঠায়। এ ঘটনায় আমার পরিবার ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চুসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে কোন সমাধান পায়নি। তাই তার বাড়িতে অনশনে বসেছি।
তিনি আরও জানান, স্বামী রাকিবের বসতঘরে প্রবেশ করতে গেলে তার বোনদের হাতে মারধরের শিকার হয় সে। তারপরও সেখানে সে অবস্থান নেয় এবং অনশন শুরু করে। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চুর উপস্থিতিতে সে ঘরে প্রবেশ করে সেখানে অনশনে অনড় থাকে।
হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আজিজ ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চুর উপস্থিতিতে দুই পরিবারকে বসে দ্রুত সঠিক বিচারের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটিকে পানি ও কেক খাইয়ে অনশন ভাঙ্গান।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, দুই পরিবারের মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে একজন অফিসার পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এ খবরের সত্যতা পাওয়া যায়নি। জানতে পেরেছি ছেলে ও মেয়ের বিয়ের বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দুই পরিবারের সঙ্গে বসে সমাধান করবেন।
-এইচইউ/এমএ