বোরো ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক
Published : Wednesday, 25 May, 2022 at 9:05 PM Count : 119
ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে বোরো ধান কাটা-মাড়াই নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জয়পুরহাটের কৃষকরা। পানিতে ডুবে থাকা ধান থেকে গাছ বের হতে শুরু করেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জয়পুরহাটে চলতি ২০২১-২০২২ নিবিড় বার্ষিক ফসল উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় ৬৯ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৬৫ হাজার ১৭৫ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের রয়েছে চার হাজার ১৪০ হেক্টর জমি। এতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ ৯৫ হাজার ৫৫৮ মে. টন।
দফায় দফায় ঝড় ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বোরো ধানের গাছগুলো মাটিতে হেলে পড়ে পানিতে ডুবে রয়েছে। এদিকে, শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটতে না পারায় পানিতে ডুবে থাকা ধান পঁচে যাওয়ার পাশাপাশি ধান থেকে গাছ বের হতে শুরু করেছে । এ অবস্থায় ধান ঘরে তোলার দুশ্চিন্তায় এখন মাথায় হাত কৃষকের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে টুকটাক ধান কাটা শুরু হলেও ঈদের পর থেকে পুরোদমে কাটা ও মাড়াই শুরু হয়। ইতোমধ্যে জেলায় ৮০ ভাগ বোরো ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, সোনালী বর্ণ ধারণ করা বোরো ধানের শীষগুলো হেলে জমিতে থাকা পানিতে ডুবে রয়েছে। এতে প্রায় ৫১৩ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকা করছে কৃষি বিভাগ।
ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হক জানান, আলু তোলার পর লাগানো দুই বিঘা জমির ধান পানিতে সম্পূর্ণ ডুবে রয়েছে। ডুবে থাকা ধান থেকে গাছ বের হতে শুরু করেছে। ধানের গাছ পড়ে যাওয়ায় হারভেস্টর দিয়ে কাজ হচ্ছে না আবার শ্রমিক সংকটও রয়েছে। এ জন্য ডুবে যাওয়া ধান নিয়ে তিনি বিপাকে পড়েছেন।
কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় ধানের দাম কিছুটা কমলেও আবার সাড়ে নয়শ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা মণ ধান বিক্রি হচ্ছে বর্তমান বাজারে। জেলায় লেবারের সংকট মোকাবেলায় ২৪টি কম্বাইন্ড হারভেস্টর দিয়ে মাড়াই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলায় আলুর জমিতে লাগানো ধান একটু দেরিতে কাটা ও মাড়াই শুরু হওয়ায় একটু সমস্যা হয়।
-এসআই/এমএ