শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা এলাকার মিল্টন বাজারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, গোপালগঞ্জ শহরের সাবেক কমিশনার প্রফুল্ল কুমার সাহার ছেলে ডা. বাসুদেব সাহা, তার স্ত্রী শিবানী সাহা, ছেলে আহসানাউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিপলী বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র স্বপ্নীল সাহা ও প্রাইভেটকারচালক ঢাকার আদাবর থানার দোয়ারী এলাকার আ. রশিদ মিয়ার ছেলে মো. আজিজ মিয়া, কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা গ্রামের ফিরোজ মোল্লা ও তার স্ত্রী রুমা বেগম, অনিক মিয়া ও জেসমিন আক্তার।
স্থানীয়রা জানান, সকালে প্রাইভেটকারযোগে বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক বাসুদেব সাহা স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঢাকা থেকে অসুস্থ মাকে দেখতে গোপালগঞ্জে আসছিলেন। অপরদিকে, কাশিয়ানীর ফুকরা থেকে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে অনিক মিয়া ও জেসমিন আক্তার গোপালগঞ্জ শহরের দিকে আসছিলেন। ঘটনাস্থলে প্রাইভেটকার মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এ সময় বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ঢাকাগামী রাজিব পরিবহনের একটি দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাস অপর একটি নসিমনকে সাইড দিতে গেলে প্রাইভেটকারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচড়ে মহাসড়কের পাশে ধান মাড়াইরত মেশিনের ওপর ছিটকে পড়ে এবং যাত্রীবাহী বাসটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রাস্তার উপর উল্টে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই সাত জন ঘটনাস্থলে নিহত হন। দ্রুতগতি ও মহাসড়কের উপর ধান মাড়াই করার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
রাজিব পরিবহনের যাত্রী মো. শহিদুল আলম জানান, তিনি বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ছেলেকে নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় পতিত বাসটির পেছনের দিকের সিটে তিনি ছিলেন। বাসটির গতি অনেক বেশি থাকায় চালক বাসটির নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। মুহুর্তের মধ্যে বাসটি রাস্তার উপর উল্টে যায়। এতে তার শিশু সন্তান খুব ভয় পেয়েছে। বাসের অনেক যাত্রী আহত হয়েছেন।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, মহাসড়কে ধান মাড়াই ও দ্রুতগতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আহতদের গুরুত্বের সঙ্গে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নিহতদের পরিবার প্রতি ১০ হাজার ও আহতদের প্রত্যেককে চিকিৎসার জন্য পাঁচ হাজার টাকা করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।
-এমএইচ/এমএ