ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
Published : Saturday, 14 May, 2022 at 12:46 PM Count : 236
খাগড়াছড়ির রামগড়ে শিক্ষকের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রী।
এমন অভিযোগ এনে শুক্রবার রাতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর মা।
অভিযুক্ত মো. বেলায়েত হোসেন (৪২) উপজেলার ১ নম্বর রামগড় ইউনিয়নের থানাচন্দ্র পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি ওই ইউনিয়নের লামকুপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় ছুটির পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক বেলায়েত হোসেন বাড়ির কাজ দেখানোর কথা বলে ভুক্তভোগী ছাত্রীসহ অপর এক ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। পরে অপর ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষে বসিয়ে রেখে ভুক্তভোগীকে বিদ্যালয়ের টিউবওয়েলের পাশে নিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। পরে ছাত্রীটি শারীরিক ভাবে অসুস্থ বুঝতে পেরে ওই শিক্ষক ভুক্তভোগীর হাতে ১০০ টাকা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বাড়ি যাবার পর ভুক্তভোগী বিষয়টি তার মাকে জানায়। শুক্রবার বিকেলে ভুক্তভোগীর পরিবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের নেতৃবৃন্দের সহায়তায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে রামগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘মেয়ে স্কুল থেকে ফিরে কাঁদতে কাঁদতে আমাকে বিষয়টি জানায়। সে শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক। তার এমন শাস্তি হওয়া উচিৎ যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী দেবী বলেন, ‘স্কুল ছুটির পর বাসায় পৌঁছামাত্র সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান তাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবগত করেন। আমাদের স্কুলের প্রায় ছাত্র-ছাত্রীই ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর। এ ঘটনায় স্কুল কেচম্যাপ এলাকার জনগণের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার চলছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে কোন ছেলে-মেয়েকে স্কুলে পাঠাবে না বলে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন।’
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগটি গুরুতর হওয়াতে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা রজু করা হয়েছে । আইনী প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে পুলিশের তৎপরতা চলমান রয়েছে।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এমন কিছু ঘটে থাকলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। '
অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে অভিযুক্ত শিক্ষক বেলায়েত হোসেন মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিদ্যালয়ে এক বহিরাগত ছেলের আনাগোনা ছিল, আড্ডা ছিলো। ওকে বাঁধা দেয়ায় ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসিয়েছে। এই ছাত্রীকে দিয়ে মিথ্যে নাটক সাজিয়েছে।’
-কেএস/এমএ