চাতলাপুর স্থল অভিবাসন কেন্দ্রে যাত্রী পারাপার বন্ধ
Published : Sunday, 17 April, 2022 at 4:47 PM Count : 145
করোনা সংক্রমণের কারণে টানা দুই বছর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থল অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে যাতায়াত বন্ধ ছিল। গত ০১ এপ্রিল থেকে ভারতে বাংলাদেশের সকল স্থল অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে যাত্রী যাতায়াত শুরু করলেও মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার চাতলাপুর স্থল অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে কোন যাত্রী ভারতে যেতে পারছেন না।
অন্যদিকে, ভারতের কৈলাশহরের মনু স্থল অভিবাসন কেন্দ্রে প্রতিদিন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীরা অপেক্ষা করলেও চাতলাপুর অভিবাসন কেন্দ্র তাদের গ্রহণ করছে না।
চাতলাপুর স্থল অভিবাসন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বলেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আসেনি।
এই অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে যাতায়াতের ভিসা গ্রহণকারীরা জানান, ভিসা পেয়ে তারা সোনালী ব্যাংকে ভ্রমণ কর দিয়ে চেকপোস্টে গেলে চাতলাপুর অভিবাসন কর্মকর্তারা তাদের ভারতে যেতে দিচ্ছেন না। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্যান্য সকল স্থল অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে যাত্রীরা ভারতে যেতে পারলেও শুধুমাত্র এ পথে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
চাতলাপুর স্থল অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে ভিসা গ্রহণকারী যাত্রী আব্দুস শুকুর বলেন, করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের সকল কেন্দ্র দিয়ে ভারতে যাত্রী যাতায়াত শুরু করেছে। একমাত্র চাতলাপুর স্থল অভিবাসন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ভিসাধারী যাত্রীদের ভারতে যেতেও দিচ্ছেন না আবার বাংলাদেশেও আসতে দিচ্ছেন না।
চাতলাপুর স্থল অভিভাসন কেন্দ্রে গেলে অভিবাসন কর্মকর্তা নাসিমুল ইসলাম বলেন, এ পথে যাত্রী যাতায়াত শুরু করার কোন নির্দেশনা পাইনি। তাই কোন যাত্রীকে এ পথে পারাপারের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না।
তবে চাতলাপুর অভিভাসন কেন্দ্র এলাকায় ভারতের মনু অভিভাসন কেন্দ্রের কর্মকর্তা নিরঞ্জন মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সকল স্থল অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে দুই দেশের ভিসাধারী যাত্রীদের যাতায়াত শুরু হয়েছে। তাই প্রতিদিন আমাদের অফিসে বাংলাদেশি ভিসাধারী যাত্রী এলেও চাতলাপুর অভিভাসন কেন্দ্র গ্রহণ করবে না জানালে তাদের বহির্গমণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
সোনালী ব্যাংক শমশেরনগর শাখা ব্যবস্থাপক রিপন মজুমদার বলেন, ভারতীয় ভিসা গ্রহণ করে যাত্রীরা আসার পর তাদের ভ্রমণ কর নিয়ে রসিদ দেওয়া হচ্ছে। এসব যাত্রী আবার চাতলাপুর অভিবাসন কেন্দ্র থেকে ফিরে এসে যেতে পারেনি বলে অভিযোগ করছে।
পুলিশ সুপারের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, এ বিষয়টি পাসপোর্ট এন্ড ইমিগ্রেশন বিভাগের দেখার কথা। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
-এসএস/এমএ