অনলাইনে রেলের টিকেটে ভোগান্তি অব্যাহত
Published : Sunday, 27 March, 2022 at 11:21 AM Count : 503
বাংলাদেশ রেলওয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে টিকেট কাটায় ভোগান্তি অব্যাহত রয়েছে। শনিবার থেকে অনলাইনে টিকেট বিক্রি শুরু করে রেলওয়ে।
কিন্তু নানা জটিলতার কারণে গতকাল টিকিট কাটতে পারেননি অনেক যাত্রী। রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো সেই ভোগান্তি অব্যাহত রয়েছে।
সকাল ১০টা থেকে চেষ্টা করেও রেলের ওয়েবসাইটে (eticket.railway.gov.bd) প্রবেশ করা যায়নি। সাড়ে ১০টা নাগাদ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা গেলেও একাধিকবার চেষ্টা করে মোবাইল ফোনে ওটিপি কোড না পাওয়ায় রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা যায়নি।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও মোবাইল ফোনে ওটিপি কোড পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাত্রীরা টিকিট কাটতে বিড়ম্বনার কথা জানিয়েছেন।
ট্রেনের টিকিট কাটার নতুন এ সিস্টেম তৈরি করেছে সহজ নামের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। এর আগে এ সেবা দিয়ে আসছিল আরেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিএনএস।
বাংলাদেশ রেলওয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২৬ মার্চ থেকে শুরু হবে অনলাইনে টিকিট বিক্রি। অর্থাৎ, ২৬ তারিখ থেকে ঘরে বসে অনলাইনেই (eticket.railway.gov.bd) কাটা যাবে ট্রেনের টিকিট। নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী আগের মতো সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি করা হবে।
জানা গেছে, নতুন ওয়েবসাইট থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হলে প্রথমেই প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট করতে হবে। পুরানো ওয়েবসাইট বা অ্যাপের অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়ে নতুন সাইটে লগ-ইন করা যাবে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি যৌথভাবে টিকিটিং সিস্টেম তৈরি করেছে। চলতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি সহজ-এর সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৯৯৪ সালে কম্পিউটারভিত্তিক টিকিটিং সিস্টেম চালু করা হয়। ২৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করা হতো। বর্তমানে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ৭৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে। দৈনিক প্রায় ৯০ হাজার ও মাসিক প্রায় ২৭ লাখ যাত্রীর টিকিট কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়। এসব টিকিটের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৩ লাখ টিকিট অনলাইনে ইস্যু করা হচ্ছে।
-এমএ