শ্রীনগরে ড্রেজার নিয়ে ২ গ্রুপের উত্তেজনা: রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের শঙ্কা

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কোলাপাড়ায় ড্রেজার বসানোকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার এক দফা মারধরের পর থেকে ওই এলাকায় চলছে পাল্টাপাল্টি মহড়া।

স্থানীয়রা জানায়, কোলাপাড়ায় ড্রেজার ব্যবসার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে ২ বছর আগে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার পর থেকে শ্রীনগর থানা পুলিশ ড্রেজার বন্ধ করে দেয়। ২ বছর বন্ধ থাকলেও প্রায় ১ মাস আগে কোলাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাহবুব এলাকায় ড্রেজার আনে। এর সাথে যুক্ত হন কোলাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নিবার্চনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান জনেট। কারো অনুমুতি ব্যাতিত তারা কোলাপাড়ায় ড্রেজার আনার কারনে অপর একটি পক্ষও ড্রেজার আনার উদ্যোগ নেয়।
গত ১ সপ্তাহ আগে দক্ষিন কোলাপাড়া এলাকার শাহিনুর হাওলাদার আরেকটি ড্রেজারের পাইপ বসানো শুরু করে। ড্রেজার আনার কারনে শাহিনুরকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করে। এঘটনায় শাহিনুর শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শাহিনুরকে মারধরের ঘটনায় তার লোকজন মোটরসাইকেল ও হ্যান্ড মাইক নিয়ে মোটরসাইকেলে করে মহড়া দিয়ে নিজেদের শক্তি জানান দেয়।
মারধর ও মহড়ার পর থেকে এলাকায় ২ গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা আরো জানান, ২ বছর আগের ড্রেজার নিয়ে মারামারির ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি। তার উপর নতুন করে উত্তেজনার কারনে যে কোন সময় রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। বেশ কয়েকটি চক্র অবৈধ ড্রেজারের ব্যবসা করে দেদারছে কৃষি জমি, ডোবা-নালা ভড়াট করে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিলেও সাধারণ জনগন নিগৃহীত হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোলাপাড়া বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ড্রেজার বন্ধ না হলে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটে যেতে পারে। দুই বছর আগের ড্রেজারের গেঞ্জামে এক নেতার পা ভেঙে দেওয়া হয়। এখন সে ক্রেচে ভড় দিয়ে হাটে।

শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, মারধরের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শ্রীনগর উপজেলা নিবার্হী অফিসার প্রণব কুমার ঘোষ বলেন, ড্রেজার ব্যবসাকে কেন্দ্র করে কেউ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিরর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এইচআইএল/এসআর