‘ত্রিশ বছরের ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই’
Published : Thursday, 10 March, 2022 at 2:53 PM Count : 129
অশীতি পরায়ন বৃদ্ধা মাস্টারের মা বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে দেহ। শরীরের গঠনও জীর্ণশীর্ণ। কাছ থেকে দেখলেই বোঝা যায়, রোগ–শোকে অনেকটাই ক্লান্ত তিনি। বয়স হয়েছে ৮৫ বছর। হতদরিদ্র বিধবা এই নারী স্বামীর মৃত্যুর পরে শেষ জীবনে ৩০ বছর ধরে ভিক্ষাবৃত্তি করছেন একটু সচ্ছলতার আশায়। ধরনা দিয়েছেন স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের কাছেও। চেয়েছেন একটি ঘর, একটু পূঁজি, যা দিয়ে ব্যাবসা করবেন তিনি, ফিরবেন স্বাভাবিক জীবনে। কিন্তু বরাবরই আশ্বাস মিললেও কখনো জোটেনি কোনো সুযোগ সুবিধা।
মাস্টারের মা,
নেত্রকোনা সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের চন্দ্রপতি খিলা গ্রামের লিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী। বিধবা মেয়ে সন্তান নিয়ে অন্যের জায়গায় আশ্রয়ে আছেন। গেলো ২০২১ সালে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আবদুর রহমান ফাউন্ডডেশন বাংলাদেশ (এআরএফবি)'র বিক্ষোভ পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় তাকে এককালীন নগদ ৫ হাজার টাকা প্রদান করে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে সরিয়ে এনে ক্ষুদ্র ব্যবসার পূজি করে দেয়। কিন্তু লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এই অল্প পূঁজিতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারছেনা তিনি।
তার একমাত্র মেয়ে মঞ্জুরা আক্তার। এই বৃদ্ধ মা ও তার ছেলে নিয়ে খুবই কষ্টে জীবন যাপন করছে। এ অবস্থায় হতদরিদ্র ওই নারীকে খেয়ে না–খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
মা ও মেয়ের দাবি সরকারিভাবে কোনো সাহায্য পেলে ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করতে পারবে। মাস্টারের মার দাবি সরকারী ভাবে একটু আশ্রয় পেলে বাকি জীবন ভালভাবে চলতে পারবে। দীর্ঘ ত্রিশ বছরের ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায় মাষ্টারের মা।
এসআইএফ/এসআর