জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলার অভিযোগ

নাগেশ্বরীতে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে প্র্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ৩ জনকে আটক করেছে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

শনিবার সকাল দশটার দিকে পৌরসভার কামারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, পৌরসভার কামারপাড়ায় সাড়ে ২৯ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার সোলায়মান আলীর সাথে পৌরসভার হাজীপাড়া গ্রামের আমান উল্লাহ আমানের ছেলে এবিএম জাকিউল ইসলাম চন্দন গং এর বিরোধ চলে আসছিল। ভোগদখলে থাকায় বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে এবারে বোরো ধান লাগিয়েছে সোলায়মান আলী। শনিবার সকালে তা নিজেদের দখলে নিতে লোকজনসহ সেখানে যায় চন্দন গং। দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া।
 
সোলায়মান আলী জানান, এসময় তারা তার বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালায়। ভাংচুর করে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। লুটে নেয় নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সময় এলাকাবাসী ঘেরাও করে হামলাকারীদের ৩ জনকে আটক করে। তারা হলেন হাজীপাড়ার মেছের আলীর ছেলে আলম মিয়া (৩৬), কলেজপাড়ার মতিয়ার রহমানের ছেলে নাজমুল ইসলাম (২৩), পশ্চিম সাঞ্জুয়ারভিটার হযরত ব্যাপারীর ছেলে সজল মিয়া (৩৮)।

তিনি জানান, ক্রয়সুত্রে তিনি গত ২০০৬ সাল থেকে ওই সাড়ে ২৯ শতক জমির মালিক। কিন্তু হঠাৎ করে চন্দন গং এর মালিকানা দাবী করছে। জমিটি আমার ভোগদখলে থাকায় তারা বিভিন্ন সময় প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে আসছে। সর্বশেষ তারা আমার বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালাল। থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে।
 
এবিএম জাকিউল ইসলাম চন্দন বলেন, সোলায়মান আলী অন্য দাগে জমি কিনে আমাদের ক্রয়কৃত জমি জোড়পুর্বক দখলে নিয়ে ধান চাষ করেছে। আমরা সে জমি উদ্ধারে গেলে তারা আমাদের উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ৩জনকে আটক করে রাখে। পরে তারাই তাদের বাড়িতে ভাংচুর এবং একটি ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চলছে।
 
নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মী আজিজুল হক জানান, একটি টিনের ঘরে আগুন লেগেছিল। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে তা নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। এতে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবিউল হাসান বলেন, এলাকাবাসীর হাতে আটক ৩জনকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এখনো কোন পক্ষের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেএসবি/এসআর