For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

১১৫ রানে আটকা বাংলাদেশ

Published : Saturday, 5 March, 2022 at 5:56 PM Count : 270

ওয়ানডে সিরিজে আগুন ঝরিয়েছিলেন তরুণ বাঁহাতি পেসার ফজল হক ফারুকি। ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন টি-টোয়েন্টিতেও। তার সঙ্গে এবার যোগ দিলেন আরেক তরুণ পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এ দুজনের তোপে ১১৫ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬১ রানের বড় জয়ের পর আজকের ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু ফারুকি ও আজমতের আগুনে বোলিংয়ে ঠিক যুতসই পুঁজি দাঁড় করাতে পারেনি স্বাগতিকরা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা আট টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এটিই বাংলাদেশের দলীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ। এর আগে ২০১৮ সালে দেরাদুনে ১৯ ওভারে ১২২ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগাররা। আজ পুরো ২০ ওভার খেলেও ১১৫ রানের বেশি জমা পড়েনি স্কোরবোর্ডে।

নিজের চার ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন ফারুকি। আরেক পেসার আজমত ২২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি শুধু ১ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৪ রান। রশিদ খানের ১ উইকেটের জন্য খরচ ৩০ রান।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজকের ম্যাচেও টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমেছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচের মতো আজও প্রথম রানটি ওয়াইড থেকে পায় বাংলাদেশ। পরপর দুইটি ডেলিভারি লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে ওয়াইড করেন ফজল হক ফারুকি।

তবে এরপরই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান তিনি। পুরো ওভারে কখনও বাইরে বের করা, কখনও ভেতরে ঢোকানো ডেলিভারিতে পরাস্ত করেন মুনিমকে। শেষ বলে লেগবাই থেকে ১ রান নিয়ে স্ট্রাইক নিজের কাছেই রাখেন মুনিম।

পরের ওভার বোলিংয়ে আসেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। দ্বিতীয় বলেই উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে লং অফ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজের লক্ষ্য পরিকল্পনা পরিষ্কার করে দেন মুনিম। কিন্তু প্রতি বলেই মারার চেষ্টা কাল হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য।

সেই ওভারের চতুর্থ বলে আগেই উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দিয়ে ফেলেন মুনিম। যা দেখে গতি খানিকটা কমিয়ে শর্ট লেন্থে করেন নবি। যে কারণে বলের পিচ পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি মুনিম। ফলে যা হওয়ার হয়েছে তাই।

বল তার ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে উঠে যায় আকাশে। মিড অফে সহজ ক্যাচ নিয়ে ১০ বলে ৪ রান করা মুনিমের বিদায় নিশ্চিত করেন শরাফউদ্দিন আশরাফ। মুনিমের বিদায়ে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেটে আসতে হয় আগের ম্যাচের হাফসেঞ্চুরিয়ান লিটনকে।

বাঁহাতি ফারুকির করা তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলটি ছিল লেগ স্ট্যাম্পের ওপর বাউন্সার। জায়গায় দাঁড়িয়ে পুল করে ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা মেরে দেন লিটন। কিন্তু বেশিক্ষণ উইকেটে থাকা হয়নি তার। আক্রমণে এসেই লিটনকে ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাই।

ইনিংসের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই আজমতের করা সাদামাটা এক ডেলিভারিতেই মূলত আউট হন লিটন। মুনিমের মতো তার ক্যাচটিও তালুবন্দী করেন শরাফউদ্দিন আশরাফ।

লিটন ফিরে যাওয়ার পরের বলেই নিজের প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান নাইম শেখ। একই ওভারের শেষ বলে চার মারেন আরও একটি। মনে হচ্ছিল, শুরুর ধাক্কা আজ হয়তো নাইমই সামলে নেবেন।

কিন্তু এরপর খোলসে ঢুকে যান এ বাঁহাতি ওপেনার। চার নম্বরে নামা সাকিব আল হাসানও পারেননি হাত খুলে খেলতে। ফলে পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৩ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ।

পরের দুই ওভারে মাত্র ৫ রান খরচ করে চাপ আরও বাড়ান মোহাম্মদ নবি ও রশিদ খান। এর মধ্যে রশিদের করা সপ্তম ওভারে নাইমকে লেগ বিফোর আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিলে দেখা যায় বল পড়েছিল লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে। ফলে বেঁচে যান নাইম।

এক ওভার পরই ফিরতে হয় নাইমকে। রশিদের বল সুইপ করতে গিয়ে মিস করেন তিনি। বল আঘাত হানে প্যাডে। এবার লেগ বিফোর দেননি আম্পায়ার। দ্রুত রান নেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে করিম জানাতে সরাসরি থ্রোয়ে রানআউট হন নাইম। এ বাঁহাতি ওপেনার ১৯ বলে করেন ১৩ রান।

পরের ওভারে একই পথ ধরেন সাকিব আল হাসান। আজমতের খানিক খাটো লেন্থের ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন সাকিব। উইকেটের পেছনে গ্লাভসবন্দী করে ১৫ বলে ৯ রান করা সাকিবের বিদায়ঘণ্টা বাজান রহমানউল্লাহ গুরবাজ।

প্রথম চার ব্যাটারের এমন হতাশাজনক ব্যাটিংয়ের পর ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে মাত্র ৪৭ রান। সেখান থেকে পাল্টা আক্রমণ করেন নিজের শততম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মুশফিকুর রহিম ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

বাংলাদেশের দলীয় পঞ্চাশ পূরণ হতে লাগে ১০.২ ওভার। সেখান থেকেই মূলত শুরু পাল্টা জবাবে। রশিদ খানের করা ১২তম ওভারে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকান মাহমুদউল্লাহ। সেই ওভারের শেষ চার বল থেকে ১২ রান নিয়ে নেন তিনি।

অধিনায়কের দেখাদেখি পরের ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি খুঁজে নেন মুশফিক। পরে করিম জানাতের করা ১৩তম ওভারে হাঁকান জোড়া চার। সেই ওভার থেকে আসে ১২ রান। রশিদের করা ১৫তম ওভারের প্রথম বলে চার মেরে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ২ হাজার রান পূরণ করেন মাহমুদউল্লাহ।

সেই ওভারেই তাকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন রশিদ। উইকেটে পড়ে সোজা যাওয়া ডেলিভারি সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। বল প্যাডে লাগার সঙ্গে সঙ্গে আবেদন না করে উদযাপন শুরু করেন রশিদ। আম্পায়ারও নিশ্চিত করেন ১৪ বলে ২১ রানেই থামছে মাহমুদউল্লাহর ইনিংস।

অধিনায়ক ফিরে যাওয়ার পর উইকেটে এসে দ্বিতীয় বলেই চার মারেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। পরের ওভারে আজমতের বলে দৃষ্টিনন্দন শটে বাউন্ডারির দেখা পান মুশফিকও। কিন্তু ফারুকির করা ১৭তম ওভারেই ঘটে বিপদ।

প্রথম বলে মুশফিককে আউট করার পর তৃতীয় বলে ১৪০ কিমি গতির ডেলিভারিতে শেখ মেহেদি হাসানকে বোল্ড করে দেন ফারুকি। মুশফিক খেলেন ২৫ বলে ৩০ রানের ইনিংস। রানের খাতাই খুলতে পারেননি মেহেদি। আজমতের পরের ওভারে আউট হন ৯ বলে ৭ রান করা আফিফ।

এরপর নাসুম আহমেদের ৫ ও মোস্তাফিজুর রহমানের ৬ রানের সুবাদে ১১৫ পর্যন্ত যায় দলীয় সংগ্রহ। শেষের ২৬ বলে কোনো বাউন্ডারিই হাঁকাতে পারেনি বাংলাদেশ। পুরো ইনিংসে বাউন্ডারি হয়েছে মাত্র ১২টি আর ডট বল ছিল ৫৮টি।

এসআর

শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,