সাভারে জাটকা-জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ
Published : Thursday, 3 March, 2022 at 8:25 PM Count : 135
সাভারের আশুলিয়ায় মাছের আড়তে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ জেলিযুক্ত চিংড়ি ও জাটকা মাছ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় নিষিদ্ধ মাছ বিক্রির দায়ে তিন মাছ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয় এবং জব্দকৃত জাটকা মাছ এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে আশুলিয়ার নয়ারহাট ও বাইপাইল মাছের আড়তে এই অভিযান পরিচালনা করেন আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট আনোয়ার হোসেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেন জানান, আশুলিয়ার নয়ারহাট ও বাইপাইল মাছের আড়তে বিক্রয় নিষিদ্ধ জাটকা ও জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ বিক্রি করা হচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে ওই আড়ৎ দুটিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১০ কেজি পরিমাণ জাটকা ও ৩০ কেজি পরিমাণ জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ জব্দ করা হয়। নিষিদ্ধ এই মাছ বিক্রির দায়ে তিনজন মাছ বিক্রেতাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় জব্দকৃত জাটকা আশুলিয়া থানা সংলগ্ন আশরাফিয়া আব্বাসিক মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয় এবং জেলিযুক্ত চিংড়িগুলো নষ্ট করে ফেলে দেওয়া হয়।
অভিযানের সময় সাভার উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান সরকার ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবিরসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে ঢাকার ধামরাইয়ে কাঠ পুড়িয়ে অবৈধভাবে চুল্লিতে কয়লা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে চারটি কারখানার ১৭টি চুল্লি ভেঙে ধ্বংস করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার বালিয়া ও যাদবপুর ইউনিয়নের টেটাইল ও গাঁওতারা গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করেন ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, দুপুরে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের টেটাইল গ্রামে মো. নাহিদ রানা ও মো. ইমরানের মালিকানাধীন কারখানায় অভিযান চালান। পরে বিকেলে যাদবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গাঁওতারা এলাকায় নুরুল ইসলামের কারখানায়ও অভিযান চালানো হয়। এ সময় সবগুলো কারখানা মাটি খননযন্ত্র (ভেকু) দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া একইদিনে বালিয়া ইউনিয়নের টেটাইল এলাকায় অবৈধভাবে বংশী নদী থেকে বালু তোলায় দুইটি ড্রেজার জব্দ করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, ওই এলাকায় অবৈধ চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বানানো হচ্ছিল। এতে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছিল। তাই কারখানাগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই একই জায়গায় পাশেই নদীতে অবৈধভাবে বালু তোলায় দুটি ড্রেজার পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ভবিষ্যতেও এধরনের কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ওএফ/এসআর