শিশুদের খেলা করা গ্রেনেড বিস্ফোরিত
Published : Saturday, 26 February, 2022 at 6:56 PM Count : 482
সকালে পুকুরে পাওয়া গেল হ্যান্ড গ্রেনেড, দুপুরে সেই গ্রেনেডটি নিয়েই খেলা করে শিশুরা। ক্রিকেট বলের মত যখন শিশুরা খেলছিল তখনই সেখানকার একজন ওইটিকে বোমা হিসেবে চিহ্নিত করে। অবশেষে বিকেলে দেশ স্বাধীনের পূর্বের তৈরী হওয়া ওই হ্যান্ড
গ্রেনেডটিকে বিস্ফোরন করেছে র্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট। এ সময় বোমাটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ওই গ্রেনেডটির বিস্ফোরন ঘটায় র্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট। এর আগে সকাল ১১টার দিকে উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের শেফালী বাজারের পূর্ব দিকে বৈকুন্ঠপুর গ্রামের শ্রী সরোজ কুমারের পুকুর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় হ্যান্ড গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়।
চিরিরবন্দর থানার ওসি বজলুর রশিদ জানান, বিকেলে র্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট সেটিকে নিষ্ক্রিয় করতে বিস্ফোরন ঘটায়। এ সময় বিকট শব্দে সেটি বিস্ফোরিত হয়।
তিনি জানান, পুকুর খনন করতে গিয়ে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ওই হ্যান্ড গ্রেনেড পাওয়া যায়। পরে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার বাসিন্দা সরোজ কুমারের পুকুরটি অনেক পুরোনো তবে পুকুরটি নতুন করে খনন করছিল কয়েকজন শ্রমিক। এ সময় কাঁদার ভিতর গ্রেনেডটি পায় তারা। প্রথম দিকে এটি গ্রেনেড বোমা কেউ বুঝতে না পেরে পুকুরের উপরে পাড়ে ফেলে দেয়া হয়। পরে সেখানকার শিশুরা ওই বোমাটি নিয়ে খেলছিল। এরই মধ্যে সেটি গ্রেনেড হিসেবে চিনতে পেরে এলাকাবাসী আতঙ্কের মধ্যেই বিষয়টি চিরিরবন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ হ্যান্ড গ্রেনেডটি উদ্ধার করে রংপুর র্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকে অবহিত করে। পরে সেখান থেকে বোমাটি সক্রিয় রয়েছে এবং এটি নিষ্ক্রিয় করতে হবে জানায়। পরে ইউনিটের সদস্যরা বিকেলে সেটি নিষ্ক্রিয় করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: বজলুর রশিদ জানান, হ্যান্ড গ্রেনেডটি খুবই ছোট আকৃতির এবং তার গায়ে লেখা রয়েছে ১৯৬৬। তাতে মরিচা পড়ে গেছে। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে সক্রিয় হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে রংপুর র্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়। পরে সেখানকার সদস্যরা এসে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে। ধারনা করা হচ্ছে গ্রেনেডটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার হতে পারে।
এমএইচএম/এসআর