রাজধানীর তুরাগে মসজিদের মিলাদ মাহফিলের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে কৃষক লীগ নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে চার জন আহত হয়েছেন।
তুরাগের চন্ডালভোগ এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- তুরাগ থানা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন হোসেন (৩৫), তার ছোট ভাই লিটন হোসেন (২৪), বন্ধু বিল্লাল হোসেন (২৮) ও বাড়ির ভাড়াটিয়া আলাউদ্দিন (৪০)। তাদের মধ্যে বিল্লাহ হোসেনের অবস্থা আশংকাজনক।
শুক্রবার দুপুরে উত্তরা জোনের উপ-কমিশনার মো. মোরশেদ আলম অবজারভারকে বলেন, ঘটনাটি একটি মসজিদের মিলাদ মাহফিলকে কেন্দ্রে ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, 'আমি তুরাগ থানার ওসিকে বলে দিয়েছি মামলা নিতে। শুধু তাই নয় অপরাধ যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। আমার এলাকায় কোন অন্যায়কে আশ্রয় দেয়া হবে না।'
আহত কৃষক লীগ নেতা রিপনের বাবা জয়নাল আবেদিন বলেন, 'চন্ডালভোগের মসজিদের মিলাদ মাহফিল হবে। তাই মসজিদ কমিটির লোকজন আমার বাড়ির পাশে এসে টাকা তুলে দেওয়ার জন্য আমার কাছে সহযোগিতা চান। এ সময় বাসার পাশের চায়ের দোকান থেকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা তুলছিলাম।'
তিনি বলেন, 'একপর্যায়ে তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের অফিসের পাশের রহমানের দোকানে যাওয়ার পর স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার আসে। তখন সে আমায় বলে- তুই নিজেই তো ১০ হাজার টাকা দিতে পারস। তাহলে দোকানে টাকা চাস কেন? উত্তরে আমি বলি- আল্লাহর রহমতে আমি ১০ হাজার না ২০ হাজার টাকা দিতে পারবো। তুই কিছু দিলে দে।'
জয়নাল আবেদিন বলেন, 'পরে মুক্তার ও তার ভাই ফরহাদ ওই দোকানেই আমাকে আটকে রেখে ধাক্কাধাক্কি করে। তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে এলাকার লোকজন আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।'
তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'বাড়িতে চলে যাবার পর মুক্তার, তার ভাই ফরহাদ এবং তাদের দুই ভাগনেসহ অজ্ঞাত ১২/১৫ জন চাপাতি, রড ও লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে হামলা চালায়। সেই সঙ্গে আমার দুই ছেলে রিপন, লিটন, রিপনের বন্ধু বিল্লাল এবং ভাড়াটিয়া আলাউদ্দিনের ওপর হামলা করে।'
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, তর্ক-বিতর্কের শুরুতেই মুক্তার ও তার ভাই ফরহাদকে বার বার ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে আবার লোকজন নিয়ে এসে রিপনের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।
হামলার শিকার কৃষক লীগ নেতা রিপন হোসেন বলেন, 'হামলাকারী মুক্তার ও ফরহাদ এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।পূর্বের জের ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা করার প্রতিবাদ করায় মুক্তার সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমাদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দুই ভাইসহ চার জন গুরুতর আহত হই। আহতদের মধ্যে বিল্লাহ হোসেনের অবস্থা গুরুতর।'
তুরাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ বলেন, 'আমি হামলাকারীদের তথ্য সংগ্রহের কাজ করছি। কাজ শেষ হলে বিস্তারিত বলতে পারবো। হামলায় আহতরা অভিযোগ দিলে মামলা গ্রহণ করা হবে।'
-এমআর/এমএ