For English Version
শনিবার ৫ অক্টোবর ২০২৪
হোম

বই সংরক্ষণে নিরাপদ জায়গা নেই

Published : Tuesday, 29 December, 2020 at 3:42 PM Count : 128

বর্তমান সরকার প্রতি বছর ১লা জানুয়ারীতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে উদযাপন করে আসছে বই উৎসব। যে কারণে প্রতি বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে সরকার দেশের প্রতিটি উপজেলায় চাহিদা মাফিক নতুন বই সরবরাহ করে আসছে।

নওগাঁরানীনগরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন ও পুরাতন বইগুলো সংরক্ষণ করার জন্য উপজেলা পরিষদের মধ্যে নেই কোন নির্দিষ্ট স্থান। এর ফলে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বিদ্যালয় প্রধানদের।

সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা থাকলেও বই সংরক্ষণ করে রাখার জন্য কোন সুরক্ষিত নির্দিষ্ট জায়গা নেই। প্রতি বছর যখন নতুন বইগুলো উপজেলায় চলে আসে তখন এই বইগুলো সুরক্ষিত জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখা নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয় কর্তৃপক্ষকে। অথচ উপজেলা প্রশাসন ইচ্ছে করলেই এমন অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সমাধান করতে পারেন। পরিষদের ভেতরে একটি নির্দিষ্ট ও সুরক্ষিত জায়গায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বই সংরক্ষণ করে রাখার ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 

চলতি বছর উপজেলার ১শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৪২টি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের জন্য প্রায় ৯১ হাজার ১৭০টি নতুন বই পাওয়া গেছে। বইগুলো ১ নং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে মজুদ করে রাখা হয়েছে। এভাবে বই উপজেলা পরিষদের বাইরে সংরক্ষন করে রাখা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন কর্মকর্তারা। 
অপরদিকে, উপজেলার ৩১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭টি মাদ্রাসা ও ৪টি ইবতেদায়ী মাদ্রাসার (স্বতন্ত্র) জন্য প্রায় ৩ লাখ নতুন বই এসেছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের বইগুলো উপজেলা পরিষদের একটি পরিত্যক্ত গোয়াল ঘরে মজুদ করে রাখা হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাসার সামছুজ্জামান বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মূলত উপজেলা পরিষদে এসে বই নিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। কিন্তু পরিষদের ভেতরে সুরক্ষিত কোন জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়েই একটি বিদ্যালয়ের কক্ষে বই মজুদ করে রাখতে হয়েছে। এতে করে বই নিয়ে ঝুঁকি অনেকটাই থেকে যায়। যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তখন সেটার দায়ভার আমার ওপরেই বর্তাবে। তাই পরিষদের ভেতরে বইয়ের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সংরক্ষণের লক্ষ্যে দ্রুত একটি ভবন নির্মাণ করে শতভাগ নিরাপত্তা প্রদান নিশ্চিত করতে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ। এছাড়াও আমার অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাদের বসার জায়গা নেই। সবমিলিয়ে যেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের জরাজীর্ণ অবস্থা।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, উপজেলা পরিষদের মধ্যে সব কিছুরই জায়গা হয়, কিন্তু বইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ সংরক্ষণ করার মতো নিরাপদ কোন জয়গা নেই। আমরা বাধ্য হয়েই উপজেলা পরিষদের এক কর্ণারে পরিত্যক্ত গোয়াল ঘরে বই মজুদ করে রেখেছি। যদিও বা বইগুলো বেশি দিন মজুদ করে রাখতে হবে না। তবুও ঝুঁকি থেকেই যায়। নতুন বই না থাকলেও অনেক পুরাতন বই ও অন্যান্য উপকরণ সংরক্ষণ করার জন্যও একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত জায়গা (স্টোর রুম) প্রয়োজন। কারণ প্রতি বছর নতুন বই সংরক্ষণে একটি নির্দিষ্ট জায়গা লাগবেই। তাই এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি প্রস্তাবনা পাঠাবো। আশা রাখি কর্তৃপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

-এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,