ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় সরকারি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ
Published : Saturday, 26 December, 2020 at 10:41 AM Count : 120
মেহেরপুরের গাংনীতে মহব্বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি ভেবে ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে সরকারি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটিকে নিছক ভুল বলে দাবি করলেও প্রকৃত জমির মালিকরা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে তারা আইনী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, চাহিদাভিক্তিক নতুন জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ও এলজিইডির বাস্তবায়নে ৮১ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৭ টাকা ব্যয়ে মহব্বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ কাজ শুরু হয় ৬ মাস আগে। কাজটি পান ঝিনাইদহ কাঞ্চন নগরের নিশিতবসু কনস্ট্রাকশন। কাজটির প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে দেখা দিয়েছে বিপত্তি। প্রকৃত জমির মালিকগণ এসে কাজটি বন্ধ করে দিয়েছেন। তখন টনক নড়েছে প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
জমির মালিক প্রাক্তণ শিক্ষক আব্দুল খালেক বলেন, 'যে জমিতে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি ৪ শরিকের। যার মৌজা মহব্বতপুর ১৪৩ নং খতিয়ানের ১৮২ দাগ। জমির পরিমাণ ১৬ শতাংশ। এ জমির পেছনের দিকের ৫৭ নং খতিয়ানের ১৮৩ নং দাগে বিদ্যালয়ের জমি রয়েছে ১৫ শতাংশ। প্রধান শিক্ষককে জমি বিনিময়ের ব্যাপারে অনেকবার বলা হলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিও বার বার বিষয়টি উপক্ষো করেছেন। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে জমির শরিকগণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদেরকে কাজ করতে নিষেধ করেছেন। ফলে বন্ধ রয়েছে নির্মাণ কাজ। বিষয়টি নিয়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, 'এটি নিছক ভুল হয়েছে। জমিটি বিনিময় করলে সব সমস্যার সমাধান হবে। এটি সময়ের ব্যাপার। তবে জমির শরিকরা বিনিময় করতে নারাজ।'
বিদ্যালয়ের সভাপতি শহীদ সরওয়ার বলেন, 'বিদ্যালয়ের কাজ শুরুর পরে তিনি সভাপতি হয়েছেন তাই জমিজমার বিষয়টি আমার অজানা।'
গাংনী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দিন বলেন, 'জমির ব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই। তবে জমির কাগজপত্র না দেখে ভবন নির্মাণ কাজ সঠিক হয়নি। বিষয়টি কিভাবে সমাধান করা যায় তার পথ খোঁজা হচ্ছে।'
মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলে রহমান বলেন, 'এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।'
এ বিষয়ে তিনি আর কোন কথা বলতে চাননি।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মনসুর আলম খান বলেন, 'এটি নিছক ভুলের বিষয় নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
-এমএ