‘শেখ হাসিনার উন্নয়ন পরিকল্পনায় বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা অনেক বেড়েছে’
Published : Saturday, 14 November, 2020 at 3:16 PM Count : 152
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন পরিকল্পনা সর্বোপরি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কারণে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা ও গুরুত্ব অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। রূপপুর প্রকল্প বাংলাদেশের গর্বের একটি প্রকল্প। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াস আজ দৃশ্যমান হয়েছে।
শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৪৮ সদস্যের একটি দল পাবনা ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখানে ডিপ্লোম্যাটদের নিয়ে এসে আমার খুব ভালো লাগলো। এই প্রকল্প থেকে সস্তায় মাত্র ৪ দশমিক ৫০ টাকা ইউনিটে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। কম দামে বিদ্যুৎ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে আরও বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে মোমেন আরও বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প আমাদের জন্য বিশাল একটি অর্জন। আমাদের মতো দেশের জন্য এই অকল্পনীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কেবল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুঃসাহসিক সিদ্ধান্তের কারণেই সম্ভব হয়েছে। আমরা নিউক্লিয়ার মারণাস্ত্র ব্যবহারের বিপক্ষে সোচ্চার, কিন্তু মানুষের উপকারে ইতিবাচক কাজে নিউক্লিয়ার টেকনোলজি ব্যবহারের পক্ষে। এটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক বৃদ্ধি করবে। আমরা ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে সারা পৃথিবীর স্বীকৃতিও পেয়েছি।
এ সময় উপস্থিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে সারা পৃথিবী স্থবির হয়ে গেলেও রূপপুরে নিরবচ্ছিন্ন কাজ করেছেন রাশিয়ান ও দেশীয় কর্মীরা। তাদের কারণেই শিডিউল অনুযায়ী কাজ এগিয়ে চলেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, ‘ইতোমধ্যেই রাশিয়া থেকে রিয়েকটর প্রেশার ভেসেলের ভারী যন্ত্রাংশ নদী পথে প্রকল্পের নবনির্মিত জেটিতে পৌঁছতে শুরু করেছে। যন্ত্রাংশগুলো নামাতে প্রয়োজনীয় কাজ চলছে। প্রয়োজনীয় কারিগরি কার্যক্রম শেষে আগামী ফেব্রুয়ারিতে তা মূল নিউক্লিয়ার বিল্ডিংয়ে সংযোজন শুরু হবে।
তিনি বলেন, এখানে বর্তমানে ১৪ হাজার দেশীয় মানুষসহ মোট ১৭ হাজার মানুষ প্রতিদিন কাজ করছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ড. ইয়াফেস ওসমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের স্ত্রী মিসেস সেলিনা মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও তার স্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাব্বির আহমাদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের পরিচালক এফএম বোরহান উদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইতি রানী পোদ্দার, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্পের পরিচালক ড. শৌকত আকবর, পাবনার জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রূপপুর থেকে ফেরার পথে আজ শনিবার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও তাঁর সফরসঙ্গী ডিপ্লোম্যাটগন এবং পাবনা জেলা প্রশাসক ঈশ্বরদীর ঢুলটিতে অবস্থিত নিউএরা ফাউন্ডেশনের পরিচালিত নূরজাহান হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শণ করেন। নিউএরা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুর রহমান বিশ্বাস তাদের স্বাগত জানান।
কেএমএইচ/এসআর