হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন আজ
Published : Friday, 13 November, 2020 at 2:59 PM Count : 152
আজ ১৩ নভেম্বর। কথার জাদুকর হুমায়ূন আহমেদের ৭২ তম জন্মদিন।
কার্তিকের চাঁদ ছিল হুমায়ূন আহমেদের ভীষণ প্রিয়। চাঁদের অনাঘ্রাত সৌন্দর্য উপভোগ করতে মাঝেমধ্যেই তিনি ছুটে যেতেন নুহাশপল্লীতে। বসতেন লিচুগাছতলায়। পাশেই বেশ কয়েকটি জাম, জলপাই আর তেঁতুলগাছ। বৃক্ষরাজির মাঝখানে একচিলতে ফাঁকা জায়গা সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত।
দক্ষিণে শেফালি, কামিনী ফুলসহ আরও কত গাছ। তিনটি লিচু গাছের গোড়া বাঁধানো। সাহিত্যের রাজপুত্র আজ নেই। জন্মদিনে আজ তিনি আছেন তাঁর সেই প্রিয় লিচু গাছতলায়।
জন্মদিনের আড়ম্বরতা পছন্দ ছিল না তার। তবু রাত ঠিক ১২টা ১ মিনিটে প্রিয়জন, বন্ধুবান্ধব, সুহূদদের নিয়ে কাটতেন কেক। রাত গড়িয়ে সকাল হলে ভক্তরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতো প্রিয় লেখককে। এছাড়া দিনভর নানা আয়োজন তো থাকতই। বছর ঘুরে আজ এসেছে সেই শুভক্ষণ।
১৯৪৮ সালের এই দিনে তিনি নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের দৌলতপুর গ্রামে নানা বাড়িতে জন্ম নেন।
১৯৭২ সালে প্রকাশিত হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ পাঠকমহলে এতটাই নন্দিত হয়েছিল যে এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মারণব্যাধি ক্যান্সারের কাছে হার মানার আগে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, গীতিকার, নাট্যকার, চলচ্চিত্র পরিচালক- প্রতিটি ক্ষেত্রেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন তিনি।
রসবোধ আর অলৌকিকতার মিশেলে বাংলা কথাসাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর সৃষ্টি হিমু, মিছির আলী, বাকের ভাই চরিত্রগুলো পেয়েছে ‘অমরত্ব'। তাঁর লেখা গানগুলো এখনও মানুষের মুখে মুখে। নব্বই দশকের মাঝামাঝি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করে লেখালেখিতে পুরো মনোযোগ দেন হুমায়ূন আহমেদ।
বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৯৪ সালে একুশে পদক লাভ করেন তিনি৷ এছাড়া বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ূন কাদিও স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কারসহ (১৯৮৮) অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন নন্দিত এই কথা সাহিত্যিক।
-এমএ