ইউএনও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ৭ দিনের রিমান্ডে
Published : Sunday, 6 September, 2020 at 7:35 PM Count : 127
দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমকে হত্যার চেষ্টা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসাদুল হক (৩৫) কে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি।
রোববার দিনাজপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. ইসরাইল হোসেন জানান, রোববার বিকেল ৫টায় দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম মনিরুজ্জামান এর আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক আবু ইমাম জাফর গ্রেফতারকৃত আসামী আসাদুল হক (৩৫) কে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক রিমান্ড আবেদন শুনানি শেষে ৭ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ডিবি পুলিশ আসামী আসাদুলকে আদালত থেকে তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন।
এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বষুর আদালতে সোপর্দ করা ২ জন আসামি ঘোড়াঘাট উপজেলার সাগরপর গ্রামের দবিরুল ইসলামের পুত্র নবিরুল ইসলাম (৪০) ও একই উপজেলার চক বামুনিয়া বিশ্বনাথপুর গ্রামের খোকা রামদাস এর পুত্র সান্টু কুমার দাস (৩৫) কে আদালতের অনুমতিক্রমে গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আদালত হতে রিমান্ডে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। ডিবি পুলিশ আদালতের অনুমতি অনুযায়ী ওই ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
উল্লেখ্য গত বুধবার মধ্যরাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদের নৈশ্য প্রহরীকে বেঁধে রেখে সন্ত্রাসীরা পিপিই পরিধান অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের বাসায় প্রবেশ করে নির্বাহী কর্মকর্তাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় ও শরীরে আঘাত করে। এসময় বাসায় থাকা নির্বাহী কর্মকর্তার পিতা শেখ ওমর আলী তার কন্যাকে বাচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও সন্ত্রাসীরা গুরুতর আঘাত করে। দুর্ঘটনার পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম, তার পিতা শেখ ওমর আলীকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ওই দিনই ওয়াহিদা খানমকে এয়ার এ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এমডিএইচ/এইচএস