ইউএনও হত্যাচেষ্টা: নবিরুল ও সান্টু ৭ দিনের রিমান্ডে
Published : Saturday, 5 September, 2020 at 9:53 PM Count : 118
দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমকে হত্যার চেষ্টা ও গুরুতর আহত করার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় দিনাজপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদেও জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পর বিচারক শিশির কুমার বষু ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইমাম জাফর জানান, এই মামলার গ্রেফতারকৃত ৩ জন আসামীর মধ্যে ১ জন আসামি আসাদুল হক গুরুতর অসুস্থ্য থাকায় তাকে র্যাব হেফাজতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। আসাদুল সুস্থ হলে আদালতের নির্শেদ মোতাবেক তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গ্রেফতারকৃত আসামী আসাদুল ঘোড়াঘাট উপজেলার সাগরপুর গ্রামের আমজাদ আলীর পুত্র। ডিবি জানান, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় দিনাজপর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বষুর আদালতে সোপর্দ করা ২ জন আসামি ঘোড়াঘাট উপজেলার সাগরপর গ্রামের দবিরুল ইসলামের পুত্র নবিরুল ইসলাম (৪০) ও একই উপজেলার চক বামুনিয়া বিশ্বনাথপুর গ্রামের খোকা রামদাস এর পুত্র সান্টু কুমার দাস (৩৫) কে আদালতের অনুমতিক্রমে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আদালত হতে রিমান্ডে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। ডিবি পুলিশ আদালতের অনুমতি অনুযায়ী ওই ২ জনকে জিজ্ঞাবাদ শেষে পুনরায় আদালতে প্রেরণ করা হবে।
গত বুধবার মধ্যরাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদের নৈশ্য প্রহরীকে বেধে রেখে দুর্বৃত্তরা পিপিই পরিধান অবস্থায় নির্বাহী কর্মকর্তার বাসায় প্রবেশ করে নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় ও শরীরে আঘাত করে। এসময় বাসায় থাকা নির্বাহী কর্মকর্তার পিতা শেখ ওমর আলী তার কন্যাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও সন্ত্রাসীরা গুরুতর আঘাত করে। দুর্ঘটনার পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম, তার পিতা শেখ ওমর আলীকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ডিএইচ/এইচএস