মালয়েশিয়ায় ৬৩ বাংলাদেশিসহ ৬০১ অভিবাসী করোনা আক্রান্ত
Published : Tuesday, 21 April, 2020 at 12:17 PM Count : 507
মালয়েশিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬০১ জন। এর মধ্যে ৬৩ জন বাংলাদেশি প্রবাসী বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার দেশটির সংবাদ মাধ্যম দ্য অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনায় বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক ১০৮ জন, ফিলিপাইনের ১০৪ জন, বাকি আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে প্রায় ২৯ দেশের নাগরিক।
মালয়েশিয়ার এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (এমইএফ) নির্বাহী পরিচালক দাতুক শামসুদ্দীন বরদান বলেছেন, 'অবৈধ শ্রমিকদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন ছিল। কারণ তারা কোন রকম চিকিৎসা বীমার আওতাভুক্ত নয়।'
এমইএফের নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, 'দেশে ৩.৩ মিলিয়ন অবৈধ শ্রমিক থাকতে পারে, যেখানে ২.২ মিলিয়ন নথিভুক্ত কর্মী রয়েছে। একটি "রক্ষণশীল অনুমান" দেশে অবৈধ বিদেশি কর্মীদের সংখ্যা তাদের বৈধ সমমনাদের সঙ্গে সমান করে দিয়েছে।'
'তবে অনেকে বিশ্বাস করেন যে প্রতিটি আইনী বিদেশি কর্মীর জন্য প্রায় ১.৫ জন অবৈধ শ্রমিক রয়েছেন। অবৈধ বিদেশি কর্মীদের মধ্যে কোভিড -১৯ এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে সরকারের আরও প্রচেষ্টা করা দরকার।'
'০১ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রণ আদেশের (এমসিও) দ্বিতীয় পর্বের আওতায় কুয়ালালামপুরে তিনটি আবাসিক বিল্ডিং এর বাসিন্দাদের মধ্যে বড় ধরনের সংক্রমণ পাওয়ার পরে আরও কঠোর এমসিওর অধীনে রাখা হয়েছিল।'
বিদেশিরা জলান মসজিদ ইন্ডিয়া সেলানগর ম্যানশন এবং মালায়ান ম্যানশন ফ্ল্যাটে এবং জালান মুন্সী আবদুল্লাহর মেনারা সিটি ওয়ান কনডোমিনিয়ামে যারা রয়েছেন তাদের বেশির ভাগ অংশ সংক্রামিত বলে জানা গেছে। তিনটি ভবনে ১২০ জনেরও বেশি সংক্রমিত বলে জানা গেছে।
দাতুক শামসুদ্দীন বরদান বলেন, 'এমসির তৃতীয় ধাপে পরিচালিত সংস্থাগুলোর পক্ষে কাজ করা বিদেশিদের প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। একবার স্বাস্থ্যের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বিল দেওয়া হলে কেবল তাদের কাজের জন্য রিপোর্ট করার অনুমতি দেওয়া হবে।'
তিনি বলেন, 'যদি তারা স্ক্রিনিং পেতে চান এবং নিবন্ধিত ও সামাজিক সুরক্ষা সংস্থায় (সোসো) দ্বারা বহন করা ব্যয়টি নিতে হয় তবে তাদের নিবন্ধনভুক্ত হতে হবে। এবং সোসোতে অবদান রাখতে হবে।'
তিনি বলেন, নথিভুক্ত বিদেশি কর্মীরা চিকিৎসা সম্পর্কিত কোনও সমস্যার মুখোমুখি হবেন না। কারণ বিদেশি কর্মী হাসপাতালে ভর্তি এবং সার্জিকাল বীমা প্রকল্পের আওতাভুক্ত ছিল। কর্মসংস্থান আইনের অধীনে নিয়োগকর্তারা বিদেশি কর্মীদের চিকিৎসার জন্য পরামর্শের ফি প্রদানে দায়বদ্ধ ছিল।'
-এএম/এমএ