আখাউড়ায় দুলা ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে কোয়ারেন্টাইনে শ্যালক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দুলা ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসা এক শ্যালককে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে ওই বাড়ির আরও ৯জন সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। ওই বাড়ি থেকে যেন কেউ বের হতে না পরে বাড়ির লোকজনকে ঘরে রেখে তালা বন্দি করে চাবি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে জমা রাখা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে লাল নিশান টাঙিয়ে দেন স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরশহরের নারায়রপুর গ্রামে।
পৌর কাউন্সিলর মো. মন্তাজ মিয়া জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বাসিন্দা মো. সাব্বির হোসেন (৩০)। তিনি ঢাকার মীরপুর এলাকায় কাপড়ের ব্যবসা করেন। করোনাভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সতর্কতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে শুক্রবার বিকালে পৌরশহরের নারায়নপুর গ্রামের আলী হোসেন মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে আসেন সাব্বির। এ খবর স্থানীয়দের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকাবাসীর মাঝে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। ইউএনও’র নির্দেশে রাতেই ওই বাড়িতে বেড়াতে আসা শ্যালক সাব্বিরসহ বাড়ির আরও ৯জন সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। পরে আখাউড়া থানার এসআই তাজুল ইসলাম ওই বাড়ির লোকজনকে ঘরে রেখে তালা বন্দি করে চাবি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মন্তাজ মিয়ার কাছে সোপর্দ করেন। বাড়ির সদস্যদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনার নির্দেশে শনিবার সকালে ওই বাড়িতে লাল নিশান টাঙিয়ে দেন স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. মন্তাজ মিয়া। ওই বাড়ির বাসিন্দাদের ঘরের বাইরে বের না হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা।

এমএম/এসআর