ইলিশ ধরতে প্রস্তুত জেলেরা
Published : Wednesday, 30 October, 2019 at 11:09 AM Count : 304
দীর্ঘ ২২ দিন পর নদীতে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভোলার চরফ্যাশনের উপকূলীয় জেলেরা। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা শেষে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে নতুম উদ্যমে উপকূলের জেলেরা মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ শিকারে নামবেন।
ভরা প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় গত ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর উপকূলে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিলো। নিষেধাজ্ঞার নির্ধারিত সময় শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। তাই পুরোদমে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিয়েছেন জেলেরা। নিষ্প্রাণ জনপদ হয়ে উঠছে প্রাণচাঞ্চল্য।
উপকূলের জেলেপল্লী ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘ ২২ দিনের অবসরে তারা জাল ও নৌকা মেরামতের কাজ শেষ করেছেন। এখন শুধু অপেক্ষা। মাছ ধরায় ঝাঁপিয়ে পড়বেন তারা। পরিবারগুলোতেও দেখা গেছে প্রাণচাঞ্চল্য।
জেলেরা জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর পরই নদীতে যাবেন তারা।
চরকুকরির মনুরার ঘাটের জেলে খালেক মাঝি বলেন, আগামী বছর বেশি মাছ পাওয়ার আশায় নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে যাইনি। কষ্ট করে ২২ দিন পার করেছি। এখন নদীতে যাওয়ার পালা। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে ওই ঘাট থেকে কমপক্ষে শতাধিক নৌকা মাছ ধরতে যাবে বলে জানান তিনি।
চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর এলাকায় দেখা গেছে, ঘাটে সারিবদ্ধভাবে বাঁধা রয়েছে শত শত নৌকা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেই মাছ ধরার জন্য নৌকাগুলো সাগরে যাবে। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন জেলেরা। ঘাটে অবস্থানরত নৌকায় সহযোগীদের নিয়ে আশরাফ মাঝি।
তিনি বলেন, 'সময় ফুরিয়ে গেছে। সব প্রস্তুতি শেষ। আল্লাহর ইচ্ছায় রাতে মাছ ধরতে নামবো।'
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, 'এ বছর নদ-নদী ও সাগরে জেলেদের জালে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনেছেন। তাই জেলেরা নদীতে জাল ফেলেনি। ফলে বিগত বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের অভিযানও সফল হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'রূপালী ইলিশসহ মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আমরা সচেষ্ট। সামনে জাটকা নিধন অভিযান রয়েছে। সেই লক্ষ্যেও আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি।'
-এসএফ/এমএ