For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

ভোট বর্জন করলেন ৪২ প্রার্থী

Published : Sunday, 30 December, 2018 at 3:28 PM Count : 337

পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, ভোট কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৪২ জন প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।

রোববার সকাল ৮টা থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতীহীন ভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

খুলনা-১, ৩, ৪, ৫,
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা-১ আসনের বিএনপি প্রার্থী আমির এজাজ খান, একই আসনের মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী সুনিল শুভ রায়, খুলনা-৩ আসনে রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ আসনের আজীজুল বারী হেলাল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁরা তিনজনই বিএনপির প্রার্থী। 

খুলনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পঞ্চানন বিশ্বাস, খুলনা-৩ আসনে মুন্নুজান সুফিয়ান ও খুলনা-৪ আসনে রয়েছেন আবদুস সালাম মুর্শেদী।
ভোট শুরুর আড়াই ঘণ্টা পর প্রথম ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া খুলনা-৫ আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার। ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

মিয়া গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করেন, ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া, দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনাগুলো রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করার পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তিনি ভোট বর্জন করছেন। তিনি বলেন, অবৈধ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচন বৈধ করতে তিনি রাজি নন।

এছাড়াও, খুলনা-৬ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ভোট বর্জন করেন

ফরিদপুর-২
ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা–শালথা) আসনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী শামা ওবায়েদ ইসলাম। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। ওই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।

শামা ওবায়েদ অভিযোগ করেন, ফরিদপুর-২ আসনের ১২৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০০টি কেন্দ্রে গতকাল রাতেই ভোট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে যেসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সেসব কেন্দ্রে বিএনপির কোনো পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এর প্রতিবাদে নিজেও ভোট দেননি শামা ওবায়েদ ইসলাম।

ঢাকা-১
ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটর গাড়ি প্রতীকের অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। একইসঙ্গে অবিলম্বে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে এ আসনে আবারও নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছেন।

বেলা ১২টায় নবাবগঞ্জের কামারখোলায় নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে সালমা ইসলামের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। 

ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রয়েছেন সালমান এফ রহমান।

ঢাকা-১৭
ভোট বর্জন করেছেন ঢাকা-১৭ আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি বারিধারায় নিজ বাসায় দুপুর পৌনে ২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

পার্থ বলেন, এ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।

এ আসনের আন্দালিব রহমান পার্থর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক।

বাগেরহাট-১, ২, ৩, ৪
ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাগেরহাট-৩ আসনে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ ও বাগেরহাট-৪ আসনে জেলা জামায়াতের শুরা সদস্য মো. আবদুল আলীম বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ভোট বর্জন করেন। 

বাগেরহাট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের স্ত্রী হাবিবুন নাহার। আর বাগেরহাট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন।

এছাড়াও, বাগেরহাট-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী মাসুদ রানা ও বাগেরহাট-২ আসনে বিএনপি প্রার্থী এম এ সালাম ভোট বর্জন করেছেন।

বগুড়া-৪
ভোট বর্জন করেছেন বগুড়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম। সকাল থেকেই নিজের নির্বাচনী এলাকা কাহালু ও নন্দীগ্রামের কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন তিনি। তবে পরবর্তীতে দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলায় ক্ষিপ্ত হয়ে ভোট বর্জন করেন তিনি।

দুর্বৃত্তদের হামলার বিষয়ে হিরো আলম বলেন, আমাকে এতো ভয়ের কী আছে। আমি তো কারও ক্ষতি করিনি। জনগণ যদি আমাকে পছন্দ না করেন ভোট দেবেন না। সন্ত্রাসীরা কেন আক্রমণ করবে!’

চট্টগ্রাম-১৫
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের ২০ দলীয় জোটের ধানের শীষের প্রার্থী কারাবন্দি আ ন ম শামসুল ইসলামের পক্ষে তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট জাফর সাদেক বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন।

রোববার দুপুরে সাতকানিয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, আসনের সবগুলো কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্ট বের করে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারার কারণে তারা ভোট বর্জন করতে বাধ্য হয়েছি। সব ভোটারকে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারতে বাধ্য করা হচ্ছে।

মাদারীপুর-৩
এ আসনে বিএনপি প্রার্থী আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এ আসনে ১৩৪টি ভোটকেন্দ্রেই অনিয়মের অভিযোগ তোলেন তিনি।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এ আসনের সকল কেন্দ্রেই অনিয়মের মাধ্যমে সরকারদলীয় প্রার্থীকে জয়ী করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে।’

শেরপুর-২,৩
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন শেরপুর-২ ও শেরপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী ফাহিম চৌধুরী এবং মাহমুদুল হক রুবেল। রোববার বেলা সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে তারা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

ময়মনসিংহ-৩, ৫, ৬, ৮, ৯, ১১
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ময়মনসিংহের পাঁচ প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার বেলা আড়াইটায় ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের চার প্রার্থী এ ঘোষণা দেন।

তারা হলেন, ময়মনসিংহ-৩ আসনের ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেইন, ময়মনসিংহ-৫ আসনের জাকির হোসেন বাবলু, ময়মনসিংহ-৬ আসনের ইঞ্জিনিয়ার শামছ উদ্দীন আহমেদ, ময়মনসিংহ-৮ আসনে গণফোরামের এ এইচ এম খালেকুজ্জামান ও ময়মনসিংহ-১১ আসনের ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু। তারা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোটে নেমেছিলেন।

তাদের অভিযোগ, জোর করে কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের বের করে দেয়া, মারপিট করা এবং গতরাতেই ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ফেলার কারণে তারা নির্বাজন বর্জন করতে বাধ্য হন।

ময়মনসিংহ-৯ আসনে বিএনপির প্রার্থী খুররাম খান চৌধুরী এজেন্টদের মারধর, কারচুপি, আগে থেকেই সিল মারার অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন।

পাবনা-৫
এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, ভোট জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে পাবনা-৫ আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ইকবাল হোসেন ভোট বর্জন করেছেন। সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।

গাইবান্ধা-১, ৪
গাইবান্ধা-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. মাজেদুর রহমান ভোট বর্জন করেছেন। ওই আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী। গাইবান্ধা-৪ আসনে জাতীয় পার্টির কাজী মশিউর রহমান ভোট বর্জন করেছেন। এ আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মনোয়ার হোসেন চৌধুরী।

বরিশাল-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নাগরিক ঐক্যের জে এম নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর ভোট বর্জন করেন। তিনি অভিযোগ করেন, নিজ কেন্দ্রে বাধার মুখে ভোট দিতে পারেননি।

এছাড়াও, সাতক্ষীরা-২ আসনে মুহাম্মদ আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী কনকচাপা, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে রুমানা মাহমুদ, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী আবদুল মান্নান তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম খান, নাটোর-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান সেন্টু, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির রেজাউল করিম খান চুন্নু, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জেএসডি নেতা সাইফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী শরিফুল আলম দিনাজপুর-৬ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া জেলা জামায়াতের আমির মো. আনোয়ারুল ইসলাম, শরীয়তপুর-২ আসনে বিএনপির সফিকুর রহমান কিরণ, মাদারীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) আল আমিন মোল্লা, ঝিনাইদহ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান সামাদ, ঝিনাইদহ-৩ আসনের ২০ দলীয় জোটের ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা মতিয়ার রহমানের পক্ষে তাঁর এজেন্ট ভোট বর্জন করেছেন।

-এসআর/এমএ

≫ সিরাজগঞ্জে বিএনপি-ঐক্যজোটের প্রার্থীদের ভোট বর্জন
≫ কারচুপির অভিযোগে ভোট বর্জন করলেন পার্থ
≫ ভোট বর্জনের ঘোষণার সালমা ইসলামের
≫ ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর ভোট বর্জন



« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,