'ভোট দেয়ার অধিকার কি আঙ্গর আছে?'
Published : Friday, 28 December, 2018 at 12:01 PM Count : 440
'পেটের তাগিদে দেশ থেইহা (থেকে) কাজ করবার লাগি এহান (এখানে) আইছি, এহন যদি মিল যাবার না দেয় তাইলে কেমনে ভোট দিমু। আসলে ভোট দেয়ার অধিকার কি আঙ্গর (আমাদের) আছে?'
শুক্রবার সকালে অনেকটা আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন শ্রীপুর উপজেলার নোমান গ্রুপের যোবাইর কারখানার শ্রমিক আনোয়ারা বেগম।
রোববার যেখানে সারাদেশ মেতে উঠবে ভোট উৎসবে, সেখানে আনোয়ারার মত হাজার হাজার শ্রমিক ঘরে বিশ্রাম নেবেন। কারণ সময়মত ছুটি না মেলায় গণতান্ত্রিক ভোট লড়াই থেকে তারা বিরত হচ্ছেন। গাজীপুরের কিছু কারখানা শ্রমিকদের ভোট দেয়ার সুবিধার্থে কয়েক দিনের ছুটি ঘোষণা করলেও সিংহভাগ কারখানা শুধু ভোটের দিন ছুটি ঘোষণা করেছে। আর শনিবার থেকে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় কয়েকশত কারখানার শ্রমিক এবার ভোটের লড়াইয়ে অংশ নিতে পারছেন না।
মাওনা উত্তর পাড়া এলাকার জাবের স্পিনিং মিলসের শ্রমিক হাসিনা বেগম অবজারভার অনলাইনকে বলেন, 'গতবার ভোট দিতে পারিনি, তাই এবার আশায় ছিলাম ভোট দেব। কিন্তু ভোটের আগে সময় মত কারখানা ছুটি না দেয়ায় বাড়ি যেতে পারছি না।'
এবারই প্রথম ভোটার হয়েছেন পৌর এলাকার মক্কা মদিনা স্পিনিং মিলের আরিফুল হক। তার অভিমত, আমাদের কথা বিবেচনা করে কারখানা বন্ধ করার সিদ্বান্ত নেয়ার প্রয়োজন ছিল। তবে সময়মত কারখানা বন্ধ না করায় প্রথমবারের মত গণতান্ত্রিক অধিকার ভোটের উৎসব থেকে বিরত হচ্ছি।
নোমান গ্রুপের জাবের স্পিনিং মিলের জেনারেল ম্যানেজার নাসিম হোসাইন অবজারভার অনলাইনকে বলেন, 'সরকারী নিয়ম অনুযায়ী শুধু ভোটের দিন সাধারণ ছুটি। তারপরও দূরের যেসব ভোটার রয়েছে তারা যদি ছুটির আবেদন করেন তাহলে আমরা সে সুযোগ তাদের দেব।'
গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিব ইস্কান্দার অবজারভার অনলাইনকে বলেন, 'গাজীপুরের অনেক কারখানা শ্রমিকদের ভোট দেয়ার সুবিধার্থে ইতিমধ্যেই ৩ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। তবে টেক্সটাইল কারখানাগুলো এখনো খোলা রয়েছে। এসব কারখানার শ্রমিক যাদের বাড়ি দূরে তারা হয়ত ভোটে শামিল হতে পারবে না।'
-এফএ/এমএ