নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রায়াত্ত গণমাধ্যম বিটিভিতে সব ধরনের প্রচার বন্ধ হচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বরের ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে এ প্রচারণা বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের যুগ্মসচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান। খবর বিডি নিউজ।
বিটিভিতে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো শেষ সময় আজ বৃহস্পতিবার।
শুক্রবার সকাল থেকে প্রার্থীদের সব রকমের নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের যুগ্মসচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, “এবার বিটিভিতে দলীয় প্রধানদের ভাষণ দেওয়ার সুযোগ হচ্ছে না। এ নিয়ে ইসির কোনো নির্দেশনা নেই; তাই বিটিভিতে দলের ভাষণ হবে না।”
ভোটারদের কাছে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে আনুষ্ঠানিক প্রচারের অংশ হিসেবে ইশতেহারে থাকা নির্বাচনী ওয়াদা নিয়ে বিটিভিতে আগে প্রচার করা হত দলীয় প্রধানদের ধারণ করা ভাষণ। নবম সংসদ নির্বাচনসহ আগের নির্বাচনগুলোতেও দলীয় প্রধানদের ভাষণ সম্প্রচারের রেওয়াজ চালু ছিল।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারের শেষ দিন ২৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সোয়া ৯টায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভাষণ দিয়েছিলেন।
২০১৪ সালে দশম জাতীয় নির্বাচনের আগে বিটিভিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ।
২০১৪ সালে দশম জাতীয় নির্বাচনের আগে বিটিভিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ।
সবশেষ ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ১২ দলের মধ্যে ছয়টিকে বিটিভিতে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
তখন নির্বাচনের মাসখানেক আগে ‘ভাষণ সম্প্রচারের নির্দেশনা’ চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিলেন বিটিভির মহাপরিচালক।
এর জবাবে নির্বাচন কমিশন ২ জানুয়ারির মধ্যে ভাষণ রেকর্ড করার ব্যবস্থা নিতে বিটিভিকে অনুরোধ করেছিল। ৩ জানুয়ারি ছিল প্রচারের শেষ দিন।
সেবার আওয়ামী লীগ ৪০ মিনিট, জাতীয় পার্টি ২০ মিনিট এবং জাতীয় পার্টি জেপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফকে ১৫ মিনিট করে সময় দেওয়া হয়। তবে জাতীয় পার্টি থেকে ‘কেউ’ ভাষণ দিচ্ছে না বলে শেষ মুহূর্তে জানানো হয়।
নির্বাচন কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা সে সময় জানিয়েছিলেন, প্রার্থী সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে তারা ভাষণের জন্য দল নির্বাচন করেছেন।
দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ২৪৬ জন, জাতীয় পার্টির ৮৫ জন, জেপির ২৮ জন, জাসদের ২৪ জন, ওয়ার্কার্স পার্টির ১৮ জন ও বিএনএফের ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৯টি নিবন্ধিত দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ১৮ শর বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেও নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তায় এবার বিটিভিতে ভোটের ভাষণ প্রচার হচ্ছে না।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ টেলিভিশন মহাপরিচালক এস এম হারুন-অর-রশীদ বলেন, “দলীয় প্রধানদের ভোটের ভাষণ নিয়ে নির্বাচন কমিশন এবার আমাদেরকে কিছু জানায়নি।”
এসআর