For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

পাইকারি ১৪৫০ টাকার ইলিশ খুচরায় ২২০০, ধরলো ভোক্তা অধিকার

Published : Wednesday, 25 September, 2024 at 6:30 PM Count : 247



পাইকারীতে যে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০ টাকা, সেই ইলিশ খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করা হচ্ছে ২২০০ টাকা। প্রতি কেজি ইলিশ মাছ বিক্রি করে খুচরা ব্যবসায়ীরা লাভ করছেন সাড়ে ৭০০ টাকা। এমন লাভকে অযোক্তিক বলছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভোক্তাদের জিম্মি করে অতিরিক্ত লাভ ভোক্তা অধিকার আইনে দন্ডনীয় অপরাধ বলছে ভোক্তা অধিকার।

বুধবার ভোর ৫.৩০ মিনিট থেকে সকাল ৮.১৫ মিনিট পর্যন্ত রাজধানীর কারওয়ান বাজার এবং যাত্রাবাড়ীতে বিশেষ অভিযান পরিচালন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।  কারওয়ান বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল ও প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মাগফুর রহমান এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুস সালাম ও প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক  মোঃ শাহ আলম। 
কারওয়ান বাজারে অভিযানে দেখা যায়, আড়তে ইলিশ মাছ ক্রয় সংক্রান্ত কোন প্রকার তথ্য/ পাকা ক্যাশ মেমো সংরক্ষিত নেই, ইলিশ মাছ বিক্রির পাকা ক্যাশ মেমো প্রদান করা হচ্ছে না, পাইকারি ১৪৫০ টাকা কেজি দরে ইলিশ মাছ ক্রয় করে খুচরা ২২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। 

এসব অপরাধে ৫ জন আড়তদারকে ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভবিষ্যতে ইলিশ মাছ ক্রয় এবং বিক্রয় উভয় ক্ষেত্রে পাকা ক্যাশ মেমো সংরক্ষণ করা এবং প্রদান করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।


অপরদিকে যাত্রাবাড়ী আড়তে অভিযানে দেখা যায়, মনপুরা,ভোলা, মহীপাল, ফেনী , চাঁদপুর ও পাথরঘাটা থেকে ইলিশ মাছ যাত্রাবাড়ী বাজারে আসে, অত্র বাজারে ২০০ অধিক ইলিশ মাছ ব্যবসায়ী আছে। ১.৫ কেজি সাইজের ইলিশ ১৮০০ টাকা প্রতি কেজি, ১ কেজি সাইজের ইলিশ ১৬০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ১৪৫০-৭০ টাকা, ৫০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ৯০০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। কমিশন এজেন্ট ৩ শতাংশ হারে কমিশনে বিক্রয় কার্যক্রম করছে। কোন ব্যবসায়ী পাকা রশিদ সংরক্ষণ ও সরবরাহ করছেন না, মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা নাই।

এসব বিষয়ে ইলিশ ব্যবসায়ীদের মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে এবং যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয় করা ও সহজ দৃশ্যমান স্থানে মূল্যে তালিকা প্রদর্শন করতে এবং সংশ্লিষ্ট ভাউচার সংরক্ষণ করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।


অভিযানের বিষয়ে আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, সরকার ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ খবর জানা মাত্রই মাছ ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিকভাবে কেজিপ্রতি ২০০-৩০০ টাকা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এসব নির্মূল করতে হবে।

তিনি বলেন, আড়তদাররা যে দামে ইলিশ বিক্রি করছেন, সেটি যৌক্তিক কিনা তাতে সন্দেহ রয়েছে। বিক্রির পাকা রশিদও দেওয়া হচ্ছে না। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামত দাম বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, খুচরা ব্যবসায়ীরা ১৫৫০ টাকায় কিনে ২২০০ টাকায় ইলিশ বিক্রি করছেন। প্রায় ৬৫০ টাকা বেশিতে বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার লোভে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে ইলিশ। কেনাবেচার রশিদ সংরক্ষণ করা গেলে ইলিশের দাম কমবে।

অভিযান শেষে আবার বাড়তি দামেই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে জানিয়ে আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, দামের পাশাপাশি ওজনেও কারসাজি করা হয়। অসাধু ব্যবসায়ীরা এর মাধ্যমেও ভোক্তাদের ঠকিয়ে আসছেন। ব্যবসায়ীদের মনমানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। জেল-জরিমানা করে এসব ঠিক করা যাবে না। 

এসআর


« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,