অবৈধ ইট ভাটা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ
Published : Saturday, 7 September, 2024 at 5:14 PM Count : 81
মৌসুম শুরুর আগেই অবৈধ ইট ভাটা বন্ধের দাবিতে মাঠে নেমেছেন লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার সাধারণ মানুষ।
শনিবার সকালে উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড চর আফজল গ্রামে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক শত গ্রামবাসী।
এলাকাবাসীর দাবি, গত পাঁচ বছর ধরে এ এলাকায় দুটি বাংলা ইট ভাটা চালু রয়েছে। এতে করে গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার শ্বাসকষ্ট, কাশি, এলার্জিজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রথমে বড়খরী ইউনিয়ের বাসিন্দা আরমান হোসেন মিরাজ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এফএবি নামক একটি বাংলা ইট ভাটা স্থাপন করেন। বেশি পরিমাণে লাভের মুখ দেখায় এক বছর পরই তার শ্যালক মো. সোহাগকে দিয়ে ফাতেমা নাজ আফরা ব্রিক্স নামক আরো একটি ইটভাটা স্থাপন করান।
এর ফলে দুটি ইট ভাটার আটটি চিমনীর ধোঁয়ায় এলাকার ফসলি জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। মানুষের ঘরের টিন, রাস্তাঘাট, জমির উর্বর মাটিসহ নানা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটছে। ইট ভাটার ভারি যানবাহন চলাচল করায় সংষ্কারের এক বছরেই মধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে ৪ কিলোমিটারের রশিদীয়া সড়ক। প্রভাবশালী হওয়ায় এলজিইডি’র ভাড়ি গাড়ি চলাচল বন্ধে দেওয়া লোহার প্রতিবন্ধকতা গেটটিও ভেঙ্গে ফেলেছে ভাটা মালিকরা। ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারতেন না।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় আবদুল করিম, মো. বেলাল হোসেন, মো. মামুন এবং সাহেদ প্রমুখ।
তাদের দাবি, সরকারের নিয়ম-কানুন মেনে ইট ভাটা সংষ্কার না করা হলে বাংলা ইট ভাটা পুনরায় চালু করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে গ্রামবাসী একজোট হয়ে অবৈধ ইট ভাটা বন্ধ করার জন্য আন্দোলনে নামবেন।
বিক্ষোভকারীরা ইট ভাটার আশপাশের কয়েকটি বাড়ি গণমাধ্যম কর্মীদের ঘুরে দেখান। সেসব বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রত্যেকটি বাড়ির নারকেল গাছ, সুপারি গাছসহ ফল-ফলাদি গাছগুলোর পাতা শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। ক্ষেতের ফসল পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
তারা অবিলম্বে অবৈধ ভাবে স্থাপিত বাংলা ইট ভাটা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।
-আরএম/এমএ