মৌলভীবাজারে পানিবন্দি আড়াই লক্ষাধিক মানুষ, যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ
Published : Thursday, 22 August, 2024 at 3:46 PM Count : 182
টানা ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে আকস্মিক বন্যায় মৌলভীবাজারের পাঁচ উপজেলার আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া সড়কপথে সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে গেছে।
তবে পানি কমতে শুরু করেছে বলে আশার খবর দিয়েছে পাউবো।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, কুলাউড়া, জুড়ী, কমলগঞ্জ, রাজনগর ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অসংখ্য ঘর-বাড়ি, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মনু ও ধলাই নদীর একাধিক স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার রাতে কমলগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এতে নতুন করে আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়।
অপরদিকে মনু নদীর টিলাগাঁও প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে কুলাউড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। মনু নদীর ভাঙনে রাজনগর উপজেলার টেংরা, কামারচাক, মনসুরনগর, রাজনগর সদর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী- মনু নদীতে (রেলওয়ে ব্রিজ) বিপদসীমার ১০৫ সে. মি., চাঁদনীঘাট এলাকায় ১১৫ সে.মি., ধলাই নদীতে ৩২ সে.মি. ও জুড়ী নদীতে বিপদসীমার ১৯০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান বলেন, ‘শহর রক্ষায় ও মানুষের জানমাল রক্ষা করতে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহম্মদ ছাদু মিয়া বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে গেছেন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। বন্যার্তদের সহায়তায় এক হাজার ৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘মৌলভীবাজারের সবগুলো নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টি কমে গেলে পানি নেমে যাবে। এ ছাড়া যেসব স্থানে বাঁধ ভেঙেছে সেগুলোতে কাজ চলছে।’
-আরএ/এমএ